বুধবার (৮ মার্চ) সঙ্কটকালীন মৎস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, কার্পজাতীয় মাছের রেণু ও পোনা উৎপাদন কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে চালাচ্ছে মৌলভীবাজার মৎস্যবিভাগ।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পুষ্টি চাহিদা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে আমাদের দেশে মৎস্যখাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, তারপর বাজারে যে মূল্যে বিক্রি হয় তারচেয়ে অনেক কম মূল্যে মৎস্যচাষিদের কাছে বিক্রি করি। বিক্রি করা সেই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হয়। এভাবেই আমাদের এ কার্যক্রম প্রতিবছরই চলে।
আমাদের জেলা মৎস্য অফিসের অনেকগুলো পুকুর ও হ্যাচারি রয়েছে। এখানেই রেণু-পোনা উৎপাদন কার্যক্রম চলছে। এখানে ‘কার্প’ জাতীয় মাছ অর্থাৎ রুই, কাতলা, মৃগেল, স্বরপুটি, গ্রাসকার্প, সিলভারকার্প এবং বিগহেড উৎপাদন হয় বলে জানান এ সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা।
এখানে রেণুর যে ছবিগুলো দেওয়া হয়েছে তা বুধবার (৮ এপ্রিল) সকালের ছবি। সেগুলো আগামী ২৪ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ের মধ্যে ফুটে ছোট ছোট পোনা বের হবে। এই পোনাগুলো পুকুরে ছাড়লে পনেরো দিন বা এক মাস পরে হাফ ইঞ্চি সাইজের হয়ে যাবে। এই পোনাগুলো আগামী শনিবার অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টা পর মৎস্যচাষিদের হাতে পৌঁছে যাবে।
রেণু উৎপাদন সম্পর্কে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, ডিম ফুটে যেটা বের হয় সেটাকে রেণু বলে। এক বালতি ডিম থেকে সাধারণত ১ কেজি রেণু উৎপন্ন করা সম্ভব। বুধবার সকালে আমরা ত্রিশ বালতি ডিম পেয়েছি। এ থেকে ৩০ কেজির মতো রেণু উৎপাদন হবে। একেক কেজি রেণুতে আড়াই থেকে তিন লাখ পোনা হয়। মাছের প্রজাতিভিত্তিক একেক কেজির দাম পনেরশ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ইনজেকশনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, মাছগুলো গতকাল মঙ্গলবার ধরেছি। তাদের শরীরে হরমোন ইনজেকশন দিতে হয়। তারপর পুরুষ মাছ ও নারী মাছ একসঙ্গে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সাধারণত ওরা পরের দিন ভোরের দিকে ডিম দিয়ে দেয়। তারপর সেগুলো সতর্কতার সঙ্গে হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।
এখানে রুই মাছ ছিল ১০টি। এর মধ্যে ৫টি পুরুষ রুই এবং ৫টি স্ত্রী রুই। মৃগেল ছিল ১৪টি। ৭টি পুরুষ মৃগেল এবং ৭টি স্ত্রী মৃগেল। এভাবেই স্বল্পমূল্যে মৎস্যচাষিদের হাতে মাছের প্রজাতিগুলো সরবরাহের জন্য আমাদের কার্যক্রম চলছে বলে জানান মৌলভীবাজারের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সুলতান মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
বিবিবি/এএ