মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ধান কাটা ও ঘরে তোলা নিয়ে কৃষকদের মধ্যে একটা হতাশা কাজ করছে। ধান কাটা ও ঘরে তোলার মৌসুমের শুরু ও শেষের দিকে অতিবৃষ্টি ও শিল্পাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া আশঙ্কা থাকে।
মঘি গ্রামের ধান চাষি আলাউদ্দিন বলেন, দেড় একর জমিতে ধান চাষ করেছি। করোনা ভাইরাসের ভয়ে জমিতে আসতে পারি না। ঠিকমতো পানি সেচ দিতে পারি না। শহর থেকে শুরু করে সব কিছুই বন্ধ রয়েছে। গ্রামের যে দোকান থেকে বাকিতে তেল নিয়ে মেশিন চালায় সেই দোকানই বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কাছে যে টাকা ছিল তাও শেষ হয়েছে। নগদ টাকা না দিলে তেল দেয় না। এখন কীভাবে জমিতে সেচ দিব। প্রচণ্ড রোদে জমি ফেটে যাচ্ছে। পাম্পে গেলে নগদ টাকা ছাড়া তেল দেয় না।
একই গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাস, আকাশে মেঘ দেখে জানে পানি থাকে না। সমিতি থেকে কিস্তি তুলে পাঁচ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। যখন আকাশে মেঘ হয় তখন জানে পানি থাকে না।
শেখ পাড়ার কৃষক আলামিন জানান, আমি দিনমুজুরি করে সংসার চালাই। করোনা ভাইরাসের কারণে কৃষি কাজ বন্ধ রয়েছে। বৌ-ছেলে মেয়ে নিয়ে মহাবিপদে পড়েছি। এ রকম থাকলে কিভাবে কৃষি কাজ করবো। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় কাজ করতে যাওয়া যাচ্ছে না পুলিশ বাধা দেয়। বৌ ছেলে মেয়ে নিয়ে ঘরে পড়ে মরার মতো অবস্থা।
মাগুরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার বাংলানিউজকে বলেন, মাগুরা জেলায় এ বছর বোরো মৌসুমে ৩৭ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে ধান কাটা শ্রমিকদের ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। তারা এক জেলা থেকে অন্য জেলা যেতে পারবে না। এ দিকে মেঘ বৃষ্টি তো আছেই। সব মিলিয়ে ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিতায় মধ্যে আছি। তবে আল্লাহর কাছে দোয়া করি আমাদের দেশে এই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করে আবার সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসি। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষকদের পাশে সব সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২০
এনটি