সম্প্রতিককালে বিষযুক্ত খাবারে বাজার সয়লাব হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। তবে এমন কিছু ফল রয়েছে, অতি সহজেই যা চাষ করা যায় বাড়ির আঙ্গিনায়।
তেমন কোনো পরিচর্যা ছাড়াই গাছটি বেড়ে উঠে বাড়ির আঙ্গিনায়। তাই আমরা এই ফলের গাছ লাগিয়ে সহজেই খেতে পারি বিষমযুক্ত ফল। হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হিলালপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল আলম বাবু তার বাবাকে নিয়ে প্রায় ৩ বছর আগে একটি অরবড়ই গাছ রোপণ করেন। এবার নিয়ে দুই বছর তারা পুরোদমে ফল খেতে পারছেন।
বাবু বাংলানিউজকে বলেন, গাছটিকে তেমন পরিচর্যা করতে হয়নি। শুধু উদ্ভিদভোজী প্রাণীদের থেকে বাঁচিয়ে রাখলেই যথেষ্ট। এবার তাদের গাছে প্রচুর পরিমাণে ফল এসেছে। যা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে আত্মীয়-স্বজনদেরও। বছরে প্রায় তিন মাস পরপরই গাছটিতে ফল আসে। তিন মাস পরপর গ্রামের অন্যান্য পরিবারগুলোকে দেওয়া হয় ধারাবাহিকভাবে। হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ফখরউদ্দিন পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, অরবড়ই একটি ছোট অপ্রচলিত টক ফল। এর ইংরেজি নাম Gooseberry, গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Phyllanthus acidu, যা Phyllanthaceae পরিবারভুক্ত। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই ফলটিকে নলতা, লেবইর, ফরফরি, নইল, নোয়েল, রোয়াইল, রয়েল, আলবড়ই, অরবরি ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। অরবড়ই গাছ গুল্ম এবং বৃক্ষের মাঝামাঝি আকারের হয়, যা দুই থেকে নয় মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। ফল দেখতে হাল্কা হলুদ রঙের এই ফলের ত্বক খাঁজ কাটা থাকে। এ ফল প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পানি থাকে। যদি কেউ বেশি তৃষ্ণার্ত হয়। এটা খেলে কিছুটা তৃষ্ণা মেটানো যায়। বিট লবণ দিয়ে এটি খেতে স্বাদ লাগে ও মুখের রুচি বাড়ে। ডাল ও খিচুরিতে দিয়ে এই ফলটি খাওয়া যায়। এছাড়া অরবড়ইয়ের আচারও খুব সুস্বাদু।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
এএটি