উত্তরের নীলফামারী জেলার শাক-সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হতো। বিশেষ করে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ছিল এসবের বাজার।
জেলার সবচেয়ে বড় সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কে অবস্থিত পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ২০০ টাকা, করলা ১৪০ টাকা, শসা ২০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ৩ টাকা কেজি খুচরা বাজারে ৫ থেকে ৭ টাকা কেজিতে। একটি মিষ্টি কুমড়া মাত্র ১৫ টাকা। নীলফামারী সংগলশী ইউনিয়নের সবজিচাষি বেলাল হোসেন, আজমত আলী জানান, এবারে অনুকূল পরিবেশ থাকায় শাক-সবজির খুব ভালো হয়েছে। কিন্ত করোনার কারণে কৃষকের সর্বনাশ হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া নাহলে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবেন না বলে জানান তারা।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহসিন রেজা রূপম জানান, নীলফামারী জেলার অর্থকরী সবজি হচ্ছে বেগুন, করোলা, টমেটো, চাল কুমড়া ও কাঁচা মরিচ। এবার জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৪০২ হেক্টর জমি। সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৮ হাজার ৩ শত ৮০ মেট্রিক টন। এবার ফলনও হয়েছে ভালো। কিন্তু করোনা চাষিদের ভাগ্য উল্ট-পাল্ট করে দিল। লাভ তো দূরের কথা, জমিতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে বাজারে এনে দাম না পেয়ে ফেলে দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
এএটি