রাজাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিগত সময়ে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় সম্প্রতি অনেক কৃষকই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এ বছর এ উপজেলায় মোট ১৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে।
সূর্যমুখী চাষ নিয়ে উপজেলা সদরের পূর্ব চর রাজাপুর এলাকার কৃষক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, হাইব্রিড বীজ থেকে প্রতি একর জমিতে ২৫ থেকে ৩০ মণ পর্যন্ত সূর্যমুখীর ফলন হয়। এ থেকে ১৫ থেকে ১৮ মণ পর্যন্ত তেল পাওয়া যায়। বীজ থেকে তেল বের করলে খৈলসহ প্রতি মণে ২ হাজার থেকে ২২শ’ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। অথবা শুধু বীজ বিক্রি করলেও প্রতি মণ দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি করা যায়। এ ফুল চাষে ভালো মুনাফা থাকে।
একই প্রসঙ্গে পূর্ব চর রাজাপুর কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল হক হাওলাদার জানান, সূর্যমুখীর কোনো কিছুই ফেলনা নয়। বীজ থেকে তেল, এরপর মাছ ও পশুখাদ্যের জন্যে খৈল, এছাড়া গাছ শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। করোনার এই দুর্যোগের মধ্যেও ভালো ফলন হওয়ায় এ বছর বেশি মুনাফার আশা করছেন বলেও জানান তিনি।
উপজেলায় সূর্যমুখীর চাষ বাড়ছে জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রিয়াজউল্লাহ বাহাদুর বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর রাজাপুরে প্রায় দ্বিগুণ সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। ভালো ফলন ও বেশি লাভ হওয়ায় উপজেলায় ধীরে ধীরে সূর্যমুখীর চাষ বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২০
এমএস/এইচজে