এতে লোকসানের মুখে পড়ছেন এসব এলাকার কয়েকশ খামারি। তবে ডিমের দাম কম হওয়ায় খুশি সাধারণ ক্রেতারা।
এদিকে খামারিরা জানান, চলনবিল ও হালতিবিলসহ সব উপজেলা এলাকায় উন্মুক্ত জলাশয়ে পাঁচ শতাধিক হাঁসের খামার রয়েছে। তবে চলনবিল এলাকাতেই রয়েছে
দেড় শতাধিক হাঁসের খামার। এসব খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক পরিমান ডিম উৎপাদিত হয়। এসব ডিম আগে ৫০ টাকা হালিতে বিক্রি হয়েছে। এখন করোনার কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা ডিম বাজারজাত করতে পারছেন না।
আগে পাইকাররা এসে ডিম কিনে নিয়ে যেতো। আর ক্রেতার অভাবে চাহিদা মাফিক ডিম বিক্রি করতে পারছেন না খামারিরা। ফলে ডিমের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে পচন ঠেকাতে লোকসান দিয়ে হলেও কম দামে ডিম বিক্রি করছেন খামারিরা।
সিংড়ার শহরবাড়ি গ্রামে গড়ে তোলা হাঁসের খামারি মো. রিপন ও উজ্জল হোসেন জানান, চলনবিল গেট সংলগ্ন আড়তে তারা সপ্তাহে দুইদিন ডিম বিক্রি করেন। আগে প্রতি হাটেই ৪৫ থেকে ৫০ টাকা হালিতে ডিম বিক্রি করেছেন তারা। এখন করোনার কারণে আড়তে ক্রেতাশূন্যতা দেখা দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে অর্ধেক দামে ডিম বিক্রি করছেন তারা। এতে তাদের খরচের টাকাই ওঠছে না। তাই যাতে পচে নষ্ট না হয়, সেজন্য কম দামেই বিক্রি করছেন এসব ডিম। ডিম ক্রেতা বালুয়া বাসুয়া মহল্লার বাসিন্দা রানা আহমেদ জানান, এত কম দামে পাওয়ায় তিনি বাড়ির জন্য ১২০টি হাসেঁর ডিম কিনেছেন।
চলনবিল গেট সংলগ্ন ডিমের আড়তের মালিক রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, করোনার কারণে পরিবহন স্বল্পতায় পাইকাররা আসছেন না। তাছাড়া অনেক দোকানও বন্ধ রয়েছে। তাই ডিমের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। ডিম সময়মত বাজারজাত করতে না পারলে খামারিদের লোকসান গুণতে হবে। এতে খামার মালিকরা নিরুৎসাহিত হবে। তাই সরকারিভাবে ডিম বাজারজাতকরণে ব্যবস্থা করা জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
এএটি