ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

গাছে ঝুলছে সবুজ মাল্টা, চাষিদের মনে আনন্দের ঢেউ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৯ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২০
গাছে ঝুলছে সবুজ মাল্টা, চাষিদের মনে আনন্দের ঢেউ

গাজীপুর: ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস। মাল্টা চাষি এক বন্ধুর পরামর্শে এ ফল চাষের উদ্যোগ নেন শহিদুল ইসলাম সাচ্চু এবং ঢাকায় বসবাসরত তার আরও ৫ বন্ধু আনোয়ার হোসেন মিঠু, মেজবাহুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মো. মাসুম ও মো. মনিরুজ্জামান। তাদের করা বাগান ভরে গেছে সবুজ মাল্টায়, ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে বহু গাছ। যা দেখতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন মানুষ। আর মাল্টার এ বাম্পার ফলনে চাষিদের মনে জেগেছে আনন্দের ঢেউ। স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ীকভাবে লাভবান হওয়ার।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বরাব এলাকায় দুলাল মার্কেটের পাশে শহিদুল ইসলাম সাচ্চুদের এ বাগানের অবস্থান। বাগানের আয়তন ১১ বিঘা।

সাচ্চু ও তার বন্ধুরা এ জমি ১০ বছরের জন্য ভাড়া নেন। বছরপ্রতি জমির ভাড়া প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। পরে সেখানে বাণিজ্যিকভাবে বারি-১ ও ভারতীয় জাতের মাল্টা চাষ শুরু করেন। আলাদা দুটি বাগানে প্রায় দেড় হাজার মাল্টা গাছ রয়েছে।

..জানা যায়, এবছর তারা মাল্টা বিক্রি করবেন। যদিও গত বছর থেকে তাদের বাগানে মাল্টা ধরতে শুরু করে। কিন্তু সেসময় তেমন একটা মাল্টা বিক্রি করতে পারেননি।

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার কোলা এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম সাচ্চু। ৮ থেকে ১০ বছর আগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী পুকুরপাড় এলাকায় বাড়ি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন তিনি।

তিনি জানান, ১৯৯৭ সালে তিনি সিঙ্গাপুর যান। কিছু টাকা জমা হলে ২০১১ সালে দেশে ফিরে আসেন। এক বছর পর মিনি গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন। লোকসানের কারণে তিনি এ ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য হন। পরে এক বন্ধুর পরামর্শে ২০১৭ সালে মাল্টা চাষ শুরু করেন।  

বাগানে মাল্টার ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী শহিদুল ইসলাম সাচ্চু ও তার বন্ধুরা।

..জানা যায়, আগস্ট/সেপ্টেম্বর থেকে এ বাগানের মাল্টা বাজারে বিক্রি করা হবে। পাইকারিতে কেজিপ্রতি মাল্টার দাম হতে পারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা।  

শহিদুল ইসলাম সাচ্চু জানান, তাদের মাল্টা বাগানে কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না। তাদের বাগানে ব্যবহার করা হয় তরল জৈব সার।

উদ্যোক্তাদের একজন আনোয়ার হোসেন মিঠু। তিনি জানান, তিনি ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। পাশাপাশি কয়েক বন্ধু মিলে গাজীপুরে মাল্টা চাষ শুরু করেছেন। এ বছর তাদের বাগানে প্রচুর মাল্টা ধরেছে। প্রতিটি গাছে গড়ে ৭০ থেকে ৮০টি মাল্টা ধরেছে।

..কালিয়াকৈর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আশিষ কুমার কর বাংলানিউজকে জানান, বরাব এলাকায় শহিদুল ইসলাম সাচ্চুদের মাল্টা বাগান পরিদর্শন করা হয়েছে। তাদের বাগানে এবার মাল্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়াও কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর, ফুলবাড়িয়া, মধোপাড়া ও মৌচাক এলাকায় মাল্টা চাষ করা হয়েছে। সরকারী প্রকল্পের আওতায় মাল্টা চাষ করলে ওইসব চাষিদের চারা, সার, কীটনাশক স্প্রেসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
আরএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।