ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

৩০ হাজার টন কাসাভা সংগ্রহ করবে প্রাণ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২১
৩০ হাজার টন কাসাভা সংগ্রহ করবে প্রাণ ...

ঢাকা: কাসাভা চাষের জন্য প্রাণ এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। প্রাণ এর পক্ষ থেকে দেশে কাসাভা চাষের উদ্যোগ নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত এ ফসল চাষে প্রায় ২০০০ কৃষক চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

চলতি বছর ৩০ হাজার টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এসব কৃষকদের কাছ থেকে কাসাভা সংগ্রহ করছে প্রাণ।  

বুধবার (০৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, কাসাভা হচ্ছে শিকড়জাত এক ধরনের আলু যা পাহাড়ি, অনাবাদী এবং অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতে চাষ হয়। দেশে এটি শিমুল আলু নামে পরিচিত।  

প্রাণ এগ্রো বিজনেস এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন বলেন, ২০১৪ সাল থেকে প্রাণ কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর মাধ্যমে কাসাভা চাষে কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অব্যবহৃত পাহাড়ি জমির যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে। প্রাণ চাষীদের কাসাভা চাষের প্রশিক্ষণ, আর্থিক প্রণোদনা, কৃষি উপকরণ সহায়তা এবং স্বল্পমূল্যে বীজ দিয়ে সহায়তা করছে। এর ফলে পাহাড়ি অনাবাদী জমিতে কৃষকের কাসাভা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

‘নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত কাসাভা সংগ্রহ ও রোপণ দুটোই একসাথে হয়। কৃষকরা কাসাভার ফসল তোলার পরপরই এর বীজ রোপণ করে। ক্রমেই দেশে একর প্রতি কাসাভার ফলন বেড়ে যাওয়া এবং কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় এ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়া কন্দাল জাতীয় ফসলের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ এই ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। ’

মাহতাব উদ্দিন আরও বলেন, চলতি মৌসুমে প্রাণ এর চুক্তিবদ্ধ চাষিরা প্রায় ৫৫০০ একর জমিতে কাসাভা চাষ করেছেন। আমরা এ বছরে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি ৩০ হাজার টন। এরই মধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০০০ টন কাসাভা সংগ্রহ হয়েছে। গত বছর আমরা একর প্রতি ৪ টন ফলন পেলেও আমরা এ বছর গড়ে ৬ টন ফলন আশা করছি। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভিবাজার, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, কুমিল্লা ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় এসব কাসাভা চাষ হয়েছে।    

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে প্রাণ এর সিলভান এগ্রিকালচার লিমিটেড এর অধীনে একটি কাসাভা প্রক্রিয়াজাতকরণের প্লান্ট রয়েছে। যেখানে প্রতি বছর প্রায় ৬০ হাজার টন কাসাভা প্রক্রিয়াজাত করা যায়। কাসাভা থেকে উন্নত মানের স্টার্চ পাওয়া যায় যা দিয়ে গ্লুকোজ, বার্লি, সুজি, রুটি, নুডলস, ক্র্যাকার্স, কেক, পাউরুটি, বিস্কুট, পাঁপর, চিপসসহ নানাবিধ খাদ্য তৈরি করা যায়। বস্ত্র ও ওষুধ শিল্পে ব্যাপকভাবে কাসাভার স্টার্চ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া কাসাভা সিদ্ধ করে ভর্তা কিংবা এর পাউডার আটা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি স্টার্চ দিয়ে এনিমেল ফিডও তৈরি করা যাবে। তাই এই ফসল বাড়ির আশেপাশে যেকোনো অনাবাদী জমিতে আবাদ করলে তাতে অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সরকার কন্দাল জাতীয় ফসলের উন্নয়নে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে যেন পাহাড়ি, অনাবাদী কিংবা কম উর্বর জমিতে কাসাভা চাষ বৃদ্ধি করা যায়। সরকারের এই উদ্যোগ কাসাভার চাষ সম্প্রসারণেও বড় ভূমিকা রাখছে। তবে এই ফসল নিয়ে পাহাড়ী ও অনুর্বর এলাকার কৃষকদের মাঝে আরও প্রচারণা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২১
এইচএডি/ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।