নীলফামারী: এবারের শীতে মানুষ, গবাদি পশু কষ্টে পড়েছে। তীব্র শীতে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের হাড় ভাঙা পরিশ্রমে বোনা ফসল।
বিশেষ করে আলু, রসুন ও পেঁয়াজের ক্ষতি কৃষকরা পুষিয়ে নিতে পারবেন না। শীত ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে মাঠের পর মাঠের পেঁয়াজ আর রসুনের পাতার আগা বাদামী হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে (স্টেমফাইলিয়াম লিফ ব্লাইট রোগ)
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি, কামারপুকুর, পার্শ্ববর্তী খানসামার প্ল্যান বাজার, দুহশুহ, ফতেজংপুর, মারগাঁও চিরিবন্দর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। সেখানকার কৃষক ফয়েজ উদ্দিন, আবু তালেব, রতন মিয়া জানান, আলু, রসুন ও পেঁয়াজ বোনার পর পরই শুরু হয় তীব্র শীত ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
শীতের তীব্রতা সহ্য করতে না পেয়ে আলু ক্ষেতে দেখা দেয় ছত্রাক জনিত পচন রোগ। কৃষকরা বালাইনাশক ওষুধ স্প্রে করলেও খুব কাজ একটা হয়নি তাতে। বিশেষ করে রসুন ও পেঁয়াজের পাতাগুলো কুঁকড়ে গেছে। ফলে এ বছর উৎপাদনে টান পড়তে পারে বলে জানান তারা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, রসুন ও পেঁয়াজের উৎপাদন কম হলেই দাম বাড়বে। ফলে কৃত্রিম সংকটও সৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১
এসআই