ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

‘সবাইকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
‘সবাইকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে’

ঢাকা: কৃষির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সবাইকে কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান হয়ে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।  

তিনি বলেন, কৃষি সব সময়ই একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা।

নতুন নতুন সমস্যা আসবে। সেসব সমস্যা মোকাবিলায় কঠোর পরিশ্রম, আন্তরিকতা ও নিবেদিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলোকে কৃষিতে ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যারা আগ্রহ নিয়ে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করবে তাদের অবশ্যই কৃষি মন্ত্রণালয় পুরস্কৃত করবে।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে ৩৮তম বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারে নব যোগদানকৃত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টশন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি হলো প্রকৃতি ও মৌসুম নির্ভর। এ কৃষিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে এনে দিয়েছিলেন একটা নতুন দিগন্ত। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করি। কিন্তু বিএনপি জোটের শাসনামলে সেটির ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি বরং কৃষিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। সেদিনই নির্বাচনী ইশতেহারে জাতির কাছে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম বাংলাদেশকে দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করবো, দারিদ্র্যতা কমিয়ে নিয়ে আসবো, এমডিজি গোল অর্জন করবো। ২০১৩-১৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে। ২০১৫ সালে এমডিজির প্রায় সবগুলো লক্ষ্যমাত্রা আমরা অর্জন করি এবং দারিদ্র্যতা ২১ শতাংশে নামিয়ে আনি। এটা কোনো জাদুর কাঠিতে হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, কৃষি ও কৃষকের প্রতি তার পরম দরদ ও আন্তরিকতার ফলে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। এটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য ১৭ কোটি মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য এখনো আমাদের যুদ্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। সে যুদ্ধে আপনারা যারা আজকে নতুন যোগদান করেছেন তারা সেই দায়িত্ব পালন করবেন। সে যুদ্ধে আপনারা অবদান রেখে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটা উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তুলবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহ-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আবদুল মান্নান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।