ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

শ্রমিকরা কাজের সন্ধানে ছুটছেন দক্ষিণে

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২১
শ্রমিকরা কাজের সন্ধানে ছুটছেন দক্ষিণে ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: উত্তরের কৃষি শ্রমিকরা কাজের সন্ধানে ছুটছেন দক্ষিণের জেলায়। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সারাদেশে গণপরিবহন ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ধান কাটতে এসব শ্রমিকরা সরকারি সহযোগিতা ও ব্যক্তিগতভাবে দলবদ্ধ হয়ে পিকআপভ্যান ও মাইক্রোবাসে করে যাচ্ছেন বিভিন্ন জেলায়।

বিগত বছরগুলোতে স্বাভাবিক সময়ে দেশের দক্ষিণ জেলাগুলোতে কাজের সন্ধানে যাওয়ার পথে এসব শ্রমিকরা দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেল জংশন, সৈয়দপুর, নীলফামারী, ডোমার ও চিলাহাটি স্টেশনে ভিড় করতেন। মহামারি করোনা রোধে গত ৮ এপ্রিল থেকে সারাদেশে ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে ট্রেন ও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সড়ক পথে পিকআপভ্যান, মাইক্রোবাস, ট্রাক্টর করে ইরি-বোরো ধান কাটতে শ্রমিকরা ছুটছেন দক্ষিণের জয়পুরহাট, সান্তাহার, আদমদীঘি, আত্রাই, নওগাঁ, নাটোর, খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন জেলায়। কিন্তু দেশের অর্থনীতি ও কৃষি ক্ষেত্রে অবদান রাখা এসব মজুররা এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পথে ছুটছেন দক্ষিণে।  

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৃষক শাহজাহান আলী ১০ জনের দল নিয়ে ইরি-বোরো ধান কাটতে চলছেন সান্তাহারের উদ্দেশে। ওই এলাকায় মজুরি বেশি পাওয়া যায়। আবার ধান পাকা শুরু হলেই সেখান থেকে তাদের মোবাইলফোনের মাধ্যমে আসার জন্য জানানো হয়।
 
শনিবার (২৪ এপ্রিল) পার্বতীপুর শহর থেকে দক্ষিণে হলদিবাড়ি রেলগেটে কথা হয় নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ এলাকার আফছার আলীর সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কাজ না করলে সংসার চলবে কীভাবে? করোনার কারণে ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে বাবা-মা ও সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে টাকা রোজগারের আশায় কাজ করতে যাচ্ছি। এখনও এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়নি। তাই দু-পয়সা কামাইয়ের উদ্দেশে অন্যদের সঙ্গে আমিও ভাড়া করা মাইক্রোবাসে কাজের সন্ধানে যাচ্ছি।     

পার্বতীপুর রেল স্টেশন মাস্টার জিয়াউল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সড়ক পথই এখন ভরসা। উত্তরের কৃষি শ্রমিকদের যাতায়াতের সহজ মাধ্যম ছিল রেলপথ। স্বাভাবিক সময়ে কৃষি শ্রমিকরা খুলনাগামী মেইল ট্রেন, উত্তরা, আন্তঃনগর সীমান্ত, বরেন্দ্র ও রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে করেই যাতায়াত করতেন।
  
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বাংলানিউজকে বলেন, উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন শত শত কৃষি শ্রমিক সড়ক পথে কাজের সন্ধানে দক্ষিণে যাচ্ছেন। ফলে বিভিন্ন পয়েন্টে শ্রমিক বহনকারী যানবাহনগুলো থামিয়ে যাচাইয়ের (প্রকৃত শ্রমিক কি-না) মাধ্যমে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।