ঢাকা: কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বাংলাদেশ অনেকদুর এগিয়ে গেছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সরকারের এই উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নিতে ও দেশের কৃষকদেরকে স্বল্প খরচে, সীমিত সময়ে অধিক উৎপাদন ও তার সুফল ভোগ করতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করছে।
প্রচলিত পদ্ধতিতে মানে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দী করতে যেখানে কমপক্ষে ৫ শতাংশ ধান নষ্ট হয় সেখানে ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে একই কাজ করলে ধান নষ্টের পরিমাণ নেমে আসে ১ শতাংশের নিচে।
এ বিষয়টি তুলে ধরতে সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হিজলগাড়ি ডিঙ্গেদহ মাঠে এসিআই মটরসের উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দী করার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ৪০ শতাংশের এক খণ্ড ধানের জমিকে সমান দুইভাগে ভাগ করা হয়। এরপর এক অংশের ধান ৮ জন শ্রমিক দিয়ে কেটে মাড়াই ও ঝাড়াই করা করা হয়। বাকি অর্ধেক অংশের ধান ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে কাটা হয়। শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে সময় লেগেছে ২ ঘণ্টা ৩২ মিনিট এবং ধান পাওয়া গেছে ৪৬৮ দশমিক ২৩ কেজি। অন্যদিকে ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে পুরো কাজটি করতে সময় লেগেছে মাত্র ১৭ মিনিট এবং ধান পাওয়া গেছে ৪৯২ দশমিক ৭৯ কেজি। অর্থাৎ এখানে হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দী করায় সময় সাশ্রয় হয়েছে ৮৮ শতাংশ আর ধান সাশ্রয় হয়েছে ৪.৯ শতাংশ।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে একদিকে যেমন কৃষক উপকৃত হচ্ছে অন্যদিকে দেশের খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
কেএআর