ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বোরো আবাদে কোমর বেঁধে মাঠে কৃষক

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২
বোরো আবাদে কোমর বেঁধে মাঠে কৃষক

ভোলা: ভোলার লালমোহন উপজেলায় বোরো আবাদে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে কৃষকরা। কারো যেন বসে থাকার সময় নেই।

 

গত বছর ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে বোরো আবাদে। উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ, বদরপুর, লর্ডহাডিঞ্জ, মঙ্গল সিকদার, কালমা ও ফরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকদের বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে বোরো আবাদের ধুম পড়ে গেছে।

অনুকূল আবহাওয়া ও সেচ সুবিধা থাকায় কৃষকরা ঝুঁকে পড়ছেন বোরো আবাদে।

কৃষি অফিসও কৃষকদের বোরো আবাদে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এবার উপজেলার কৃষকরা উফশি ও হাইব্রিড জাতের বোরো আবাদ করেছেন।

পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ইলিশা কান্দি গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার বলেন, ৩০/৩৫ বছর ধরে তিনি ধান আবাদ করে আসছেন। বিগত সময় বোরো আবাদ ভালো হওয়ায় এবারও তিনি ৮ গন্ডা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন।

পাঙ্গাশিয়া গ্রামের কৃষক নজরুল ব্যাপারি বলেন, গত বছর বোরো আবাদ ভালো হওয়ায় এবারও অনেক আশা নিয়ে কৃষকরা বোরো আবাদ করছেন।

কৃষক রফিক ব্যাপারি, জাফর তালুকদার ও মোস্তফা চৌকিদারের মতো বড় বড় চাষিরাও তাদের জমিতে বোরো আবাদ করছেন।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় না থাকলে কৃষকরা আশাবাদী অন্যান্য বছরের মত এ বছরও ফলন ভালো হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএফএম সাহাবুদ্দিন বলেন, এ বছর উপজেলায় ৯ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশাকরি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২৪ হাজার কৃষক ধান চাষ করে থাকেন। আমরা কৃষকদের বোরো আবাদে পরামর্শ এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি।

এ বছর ৫ হাজার ১০০ জন কৃষককে উফশি ও হাইব্রিড জাতের ধানের বীজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১৬৫ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

লালমোহনের কৃষকদের উৎপাদিত ধান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় যায়। মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতি বছরই ধানের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।