বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান একটি দেশ, সেটা বটে। তবে কিছু কিছু সমাদৃত কৃষি পণ্যের বাজার বিশ্বব্যাপি থাকলেও আবহাওয়া ও পরিবেশগত কারণে সেটা বাংলাদেশে জন্মানো সম্ভব হতো না।
এছাড়া বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় যশোরের ঝিকরগাছার গদখালীতে মো. ইসমাইল হোসেন পাঁচ শতক জমিতে এবার টিউলিপের আবাদ করেন। দেশের শীতার্ত অঞ্চল হিসেবে খ্যাত ঠাকুরগাও, পঞ্চগড়েও কেজিএফের সহায়তায় টিউলিপের আবাদ হয়েছে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শারিয়াল জোত ও দর্জিপাড়া গ্রামে প্রথম উদ্যোক্তা পর্যায়ে শুরু হয়েছে টিউলিপের আবাদ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশেও টিউলিপের আবাদ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখন প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগ, কারিগরি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ সহায়তা। টিউলিপের আবাদ ব্যবস্থাপনা সাধারণ আবাদ ব্যবস্থাপনা হতে কিছুটা ভিন্ন।
বিশ্বজুড়ে টিউলিপ সমাদৃত তার সৌন্দর্য ও রং বৈচিত্রের জন্য। টিউলিপ (Tulipa L.) হলো বসন্তে প্রস্ফুটিত বহুবর্ষজীবী ভেষজ bulbiferous জিওফাইটের একটি প্রজাতি (সংরক্ষণ অঙ্গ হিসাবে বাল্ব থাকে)। ফুল সাধারণত বড়, উজ্জ্বল এবং রঙিন যেমন লাল, গোলাপি, হলুদ বা সাদা (সাধারণত উষ্ণ) রঙের হয়ে থাকে। টিউলিপ এর আকর্ষণীয়তার কারণে পৃথিবীতে জন্মানো খুব বিখ্যাত একটি আলঙ্কারিক কন্দ ফুল। ক্রমবর্ধমান শিল্প বাজারে অনেক উন্নত জাতের (Cultiver) টিউলিপ বাল্বের সন্ধান পাওয়া গেছে।
ঐতিহাসিকভাবে প্রথম ইরানে (পারস্য) টিউলিপ চাষ শুরু হয় সম্ভবত ১০ম শতাব্দীতে। সেলজুকদের অগ্রগতির সাথেই আনাতোলিয়ায় টিউলিপ প্রবর্তিত হয়েছিল বলে মনে হয়। অটোমান সাম্রাজ্যে তখন বিভিন্ন জাতের টিউলিপ আবাদ করা হতো। তখন ফুলের আকার, বৃদ্ধির ধরনের ওপর ভিত্তি করে বন্য জাতের টিউলিপ ফল হতে হাইব্রিডাইজেশন পদ্ধতিতে প্রাথমিক জাতগুলো উদ্ভূত হয়েছে বলে ধারনা করা হয় যাদের মধ্যে আজও তুরস্কে ১৪টি প্রজাতি পাওয়া যায়। ধারনা করা হয়, সম্রাট ফার্দিনান্দের এম্বাসেডর ওগির ঘিসলাইন ডি বুসবেক (Oghier Ghislain de Busbecq) প্রথম তুরস্কে এক বিশাল টিউলিপের সমারোহ দেখতে পান। তিনি সেখান থেকে চারা সংগ্রহ করে তিনি ১৫৫৮ সালে জার্মানিতে পাঠান। আর এভাবেই ইউরোপে শুরু হয় টিউলিপের আবাদ। আমাদের উপমহাদেশের মধ্যে ভারতে টিউলিপ চাষ সীমিত। তবে হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের পাহাড়ি এলাকা টিউলিপ চাষের জন্য উপযুক্ত। বেশিরভাগ টিউলিপ লম্বা হওয়ার কারণে শীতে টিউলিপ ভালো বেড়ে ওঠে। টিউলিপের পুষ্ট বাল্বের জন্য ঠাণ্ডা আবহাওয়া প্রয়োজন। টিউলিপ মাঠে যেমন চাষাবাদ করা যায়, তেমনি টবে, পাত্রে, বেডে, আপেল কিংবা চেরীর মতো জন্মানো যায়। গ্রিনহাউস, পলিহাউস এবং শেড নেটে টিউলিপ চাষ করা সবচেয়ে উপযোগী।
টিউলিপ উদ্ভিদ ‘Liliaceae’ পরিবারের অন্তর্গত ‘Tulipa L.’- এর বংশ। প্রকৃতপক্ষে, টিউলিপ হলো বসন্ত-প্রস্ফুটিত বহুবর্ষজীবী যা বাল্ব থেকে জন্মায়। প্রজাতির (বৈচিত্র্য) ওপর নির্ভর করে টিউলিপ গাছ ১০ সেমি থেকে ৭০ সেমি উচ্চতার মধ্যে হতে পারে। যখন এটিতে ফুল আসে, তখন সাধারণত ৬টি পাঁপড়িসহ একটি কাপ বা ডিমের মতো আকৃতির হয়। টিউলিপ ফুলের পাঁপড়ি বিভিন্ন ধরনের বা প্রজাতির ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন প্যাটার্নসহ একক রঙ থেকে বহু রঙের হয়ে থাকে। টিউলিপ ফুল কমলা, গোলাপী, চেরি, ম্যাজেন্টা, স্যামন, ক্রিমসন, বেগুনি, এপ্রিকট, লিলাক, মাউভ, নীল, হলুদ, ভায়োলেট, পোড়ামাটির মতো অনেক রঙ লাল, স্কারলেট, চকোলেট, বাদামী অনেক শেডসহ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
টিউলিপের জাত:
সারা বিশ্বে টিউলিপের অনেক উন্নত জাত (Varity) থাকলেও মূলত টিউলিপের তিনটি শ্রেণী রয়েছে। প্রারম্ভিক (Early) ফুল আসা টিউলিপ, মাঝামাঝি ফুল আসা টিউলিপ, দেরিতে ফুল আসা টিউলিপ। ভারতে প্রাথমিক ফুলের টিউলিপের প্রধান জাতগুলি হলো- সিঙ্গেল আর্লি, ডাবল আর্লি, ডুক ভ্যান টোল এবং মিড সিজন টিউলিপ; বিজয়, মেন্ডাল। শেষ ঋতু টিউলিপের জাতগুলো হলো- হাইব্রিডাইজ, লিলি ফুলযুক্ত, রেমব্রান্ট, বিজব্লোমেন, ডাবল লেট, প্যারটস, ডারউইন এবং ডারউইন হাইব্রিড। টিউলিপা স্টেলাটা এবং টি. আইচিসোনি হিমালয় অঞ্চলে জন্মে।
টিউলিপ চাষের উপযোগী আবহাওয়া:
টিউলিপ সম্পূর্ণ রোদে বা আংশিক ছায়ায় জন্মে। তবে টিউলিপের বৃদ্ধি ও গুনাগুন অব্যাহত রাখতে দিনের তাপমাত্রা প্রয়োজন ২০-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাতে ৫-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে সরাসরি সূর্যের আলো উপযোগী হলেও মধ্যাহ্নের সময় (১২টা থেকে ৪টা) আংশিক ছায়া প্রয়োজন। টিউলিপ তুষারপাতের ক্ষেত্রে যেমন খুব সংবেদনশীল তেমনি গরম জলবায়ুতে টিউলিপ বাড়ানো একটু কঠিন। সেক্ষেত্রে টিউলিপ ফুল জন্মানোর জন্য গ্রিনহাউস এবং পলিহাউসের মতো সুরক্ষিত নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ সবচেয়ে উপযোগী।
টিউলিপ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় মাটির বৈশিষ্ট্য:
সাধারণত প্রাকৃতিকভাবে সেচের পানির সুনিষ্কাশিত জমিতে টিউলিপ বাল্ব ভালো জন্মে। তাই টিউলিপের ভালো বৃদ্ধি এবং ফলনের জন্য সুনিষ্কাশিত হালকা বেলে দোআঁশ মাটি প্রয়োজন। ভারী মাটির ক্ষেত্রে, ভালো পচনশীল কম্পোস্ট বা পিট মস বা অন্যান্য জৈব পদার্থ যোগ করলে ফসল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বাণিজ্যিকভাবে জন্মানো টিউলিপের জমির উর্বরতা নিশ্চিত করতে মাটি পরীক্ষা করা খুব জরুরি। মাটির পিএইচ (pH) ৬.০ থেকে ৭.০ অর্থাৎ কিছুটা অম্লিয় থেকে নিরপেক্ষ মাটি অধিক উপযোগী। মাটিকে সূক্ষ্মভাবে চাষ দিতে হবে এবং আগাছা অপসারণ করে জমি তৈরি করতে হবে।
টিউলিপের বংশবিস্তার, রোপণকাল ও দূরত্ব:
টিউলিপ বাল্বলেট ও বাল্ব দ্বারা বংশবিস্তার করে থাকে। বীজ দ্বারাও বংশবিস্তার করা সম্ভব। মাঝারি থেকে মাঝারি উঁচু যে জমিগুলো সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ১১০০-১৮০০ মিটার উঁচু সেই সব জমিতে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের আর যেই জমিগুলো সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ১৮০০ মিটারের বেশি উঁচুতে রয়েছে, সেই জমিতে নভেম্বর-ডিসেম্বর হতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাল্ব রোপণের আদর্শ সময়। নিয়মিত কাট ফ্লাওয়ার (Cut Flower) প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে দুই সপ্তাহ অন্তর অন্তর বাল্ব গুলো লাগালে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। বাল্বের আকার ও আকৃতির ওপর নির্ভর করে এর রোপন গভীরতা নির্ভর করে। সাধারণত, রোপণ পিটগুলো বাল্বের উচ্চতার ২ থেকে ৩ গুণ হওয়া উচিত। সাধারণভাবে টিউলিপ বাল্ব ১৫ সেমি x ১০ সেমি ব্যবধানে ৫ থেকে ৮ সেমি গভীরে রোপণ করতে হয়। টবে করার উদ্দশ্যে ১৫ সেন্টিমিটার পাত্রে ৩ থেকে ৫টি বাল্ব লাগনো ভালো। মধ্যাহ্নে (১২টা থেকে বিকেল ৪টা) আংশিক ছায়া ফুলের দীর্ঘায়ুর জন্য উপকারী। একটি ভালো মানের টিউলিপ গাছ পেতে ১০-১২ সে.মি আকারের বাল্ব রোপন উপাদান হিসেবে বেছে নেওয়া উচিৎ।
টিউলিপ চাষে সেচ ব্যবস্থাপনা:
টিউলিপ চাষে সেচ ব্যবস্থাপনা মাটির ধরন, জলবায়ু ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে। গ্রিনহাউস এবং পলিহাউস চাষের ক্ষেত্রে বিকল্প দিনে (Alternate day) সেচ দিলে ভালো খোলা জায়গায় আবাদের ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক বিরতিতে সেচ দিতে হবে। যেসব এলাকায় পানির বড় সমস্যা সেখানে ড্রিপ সেচ ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। সেচের পানির উত্তম নিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে, তা না হলে গাছে পচন ধরতে পারে এবং পানিবাহিত বিভন্ন রোগ হবার আশংকা থাকে। ফুলের উন্নত মান এবং ফলনের জন্য উদ্ভিদ বৃদ্ধির পুরোটা সময় মাটির পর্যাপ্ত আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে।
টিউলিপ চাষে আগাছা ব্যবস্থাপনা:
সুস্থ টিউলিপ চাষের জন্য মাঠকে আগাছামুক্ত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যানুয়ালভাবে অথবা উপযুক্ত আগাছানাশক ব্যবহার করে যে কোনো আগাছার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর্দ্রতা হ্রাস থেকে রক্ষা করতে এবং আগাছা নিয়ন্ত্রণ করতে টিউলিপ গাছগুলিকে মাল্চিং করতে হবে।
টিউলিপ চাষে সার ব্যবস্থাপনা:
শুকনো গোবর সার এবং কম্পোস্ট টিউলিপ চাষের জন্য চমৎকার জৈব সার। ভালোভাবে পচা ফার্মইয়ার্ড সার (FMY) ৩-৫ কেজি প্রতি বর্গমিটার মাটিতে ভালোভাবে মেশাতে হবে। টিউলিপ চাষের ক্ষেত্রে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ দ্রবণ মাল্টিপ্লেক্স এক বা দুইবার ৫০ পিপিএম পরিমান স্প্রে করলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। অজৈব সার হিসেবে NPK ৫-১০-৫ হিসাবে, ৫% নাইট্রোজেন (N), ১০% ফসফরাস (P) এবং ৫% পটাসিয়াম (K) সহ জমিতে ব্যবহার করা উচিৎ।
টিউলিপ চাষে কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা:
টিউলিপ ফুলে থ্রিপসের আক্রমণ হয় খুব বেশি। এক্ষেত্রে রোগর (০.০৫%) স্প্রে করলে তা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ব্যাভিস্টিন (০.১%) বা ডাইথেন এম-৪৫ (০.২%) দিয়ে বাল্ব পচা রোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এছাড়া টিউলিপ ফসল এফিড দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এন্ডোসালফান, ম্যালাথিয়ন, অ্যালডিকার্বসের সুপারিশকৃত ডোজ এই পোকা নিয়ন্ত্রণে উপকারী। ফিউযারিয়াম (Fusarium) সংক্রমণ গাছে একটি 'টক' গন্ধ সৃষ্টি করে যা টিউনিকের উপর একটি সাদা ছাঁচের উপস্থিতি হিসেবে দেখা যায়। এই ছত্রাকের আক্রমনে বাল্ব ফাঁপা এবং ওজনে হালকা হয়ে যায়। এই রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ০.২% বেনোমিল দিয়ে মাটি ভিজানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
টিউলিপ ফুল সংগ্রহ:
টিউলিপ চাষে সাধারণত মধ্য-পাহাড় অঞ্চলে ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল এবং উঁচু-পাহাড় অঞ্চলে এপ্রিল-জুনে ফুল ফোটা শুরু করে। ফুলের পাঁপড়িতে ২৫%-৫০% রঙ বিকশিত হলে দুটি পাতাসহ স্ক্যাপগুলি কেটে ফেলতে হবে।
যখন বাল্ব সংগ্রহের কথা আসে, তখন টিউলিপ গাছের পাতা হলুদ হতে শুরু করলে বা ফুল ফোটার ৪৫ দিন পর সেগুলি কাটা উচিত। পুরনো বাল্বের গায়ে লেগে থাকা আঁশ এবং শিকড় সরিয়ে ফেলতে হবে। এই বাল্বগুলি ছায়াযুক্ত বাতাসে শুকানো উচিত। ফুল প্রাইমোডিয়ার সঠিক বিকাশের জন্য সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে টিউলিপ বাল্বগুলি ৭-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৭-৮ সপ্তাহের জন্য সংরক্ষণ করা উচিত। এই বাল্বগুলি যেন স্যাঁতসেঁতে বা আর্দ্র অবস্থায় সংরক্ষণ করা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
টিউলিপ ফুলের জাত ও আকার ভেদে এর ফলন ভিন্ন হয়ে থাকে। নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে টিউলিপের আধুনিক চাষাবাদ ব্যপকভাবে হচ্ছে। সেখানে শতভাগ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ফুল ও বাল্ব সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহিত ফুল সরাসরি মাঠ থেকে প্যাকেটজাত করে চলে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন ফুল বাজারে। পাশাপাশি মাট থেকে সংগ্রহ করা বাল্বগুলো মাঠেই পরিষ্কার করে মাটি আলাদা করে রপ্তানি করা হচ্ছে পরের বছর চাষাবাদের জন্য। বাংলাদেশেও এই টিউলিপ আবাদের যেই সম্ভাবনা ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে তা আরো সম্প্রসারণের জন্য এই ফলের চাষাবাদ পদ্ধতি নিয়ে অনেক গবেষণা প্রয়োজন। প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগ ও প্রকল্প সহায়তার। তবেই হয়তো সম্ভব এই বিদেশি সম্ভাবনাময় অধিক লাভের টিউলিপ ফুলের সফল উৎপাদন।
লেখক: অতিরিক্ত উপপরিচালক, (কন্দাল, সবজি ও মসলা জাতীয় ফসল), হর্টিকালচার উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), খামারবাড়ী, ঢাকা-১২১৫