ফরিদপুর: ফাগুনে জ্বলছে কৃষ্ণচূড়ার গাছের ডালে আগুন। সেই আগুন ঝরা মাসের প্রথম সপ্তাহে চলছে ফাগুনের বৃষ্টি।
স্বাভাবিকভাবে এ সময়টায় প্রকৃতিতে না শীত না গরম এমন একটি আবহাওয়া বিরাজ করে। ঠিক সেই সময়ে ফরিদপুরের ৯টি উপজেলাতেই রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) ফাল্গুনের বৃষ্টি কিছুটা শীত বাড়িয়ে দিয়েছে।
সকাল থেকে আকাশে মেঘ রোদ্দুরের কানামাছি খেলা এবং সূর্য মামার উঁকিঝুঁকি চলছিল। বিকেল ৩টা নাগাদ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি নামে। এরপরই আকাশে গুড়ুম গুড়ুম শব্দ। কিছুক্ষণ পরই চারিদিক অন্ধকার হয়ে যায়। কিছুটা দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির বেগ বাড়তে থাকে। এরপর থেমে থেমে চলে বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ফরিদপুরের নিম্ন এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যায়। রাস্তায় আটকে পরে বৃষ্টির পানি।
অসময়ের বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষকে বিপাকে পড়তে হয়েছে। রিকশা-ইজিবাইকগুলো রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থেকে অলস সময় পাড় করেছে। তবে এই বৃষ্টি কৃষকের বোরো আবাদে বেশ উপকারে আসবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তবে ক্ষতি হয়েছে পেঁয়াজের ক্ষেতের। এখনই পেঁয়াজ তোলার সঠিক সময়। সেই সময়ের বৃষ্টিতে চরম ক্ষতি হলো পেঁয়াজ চাষিদের। গত ১৫ দিনে এই দুই দফা বৃষ্টিতে এক লাফে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০/১৫ টাকা। ২৫/৩০ টাকার পেঁয়াজের দাম এখন ৪০/ ৫০ টাকা। ১৫ টাকার রসুনের এখন ৩০ টাকা।
অসময়ের বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ও রসুনের ক্ষতি হলেও উপকার হয়েছে আমন ধান আবাদের। সেচ খরচ সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি জমিতে সারও লাগবে কম। জমি উর্বর হওয়ায় ধানের ফলনও বাড়বে।
ফরিদপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী দুই থেকে তিন দিন পর আবারও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে আর দিনের তাপমাত্রা কম থাকবে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আশরাফ আলী বলেন, এখন আমের মুকুল ঝুলছে সব গাছে। বৃষ্টিতে আমের মুকুলের উপকার হয়েছে বেশ। এই অসময়ের বৃষ্টিতে মাঠের ফসলের ক্ষতি হলেও ফলদ গাছের বেশ উপকার হলো।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ডা. মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ফাগুনের বৃষ্টি দেখতে ভালো মনে হলেও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
কেএআর