ঢাকা: রাজধানীর পাশেই উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর। সেখানে থাকা প্লট মালিকের অনুমতি নিয়ে (বাহুবলী) টমেটো চাষ শুরু করেন আশুলিয়া রোস্তমপুর গ্রামের মোহাম্মদ আওকাত (৪৭)।
![](https://banglanews24.com/public/userfiles/images/BN24-22-1-2022/25-1-2022/29-1-2022/31-1-2022-AAT/03-2-2022/6-2-2022/AAT-07-2-2022/09-02-2022-aat/09-02-2022-aat-1/10-2-2022-aat/14-2-2022-AAT/BOIMALA/21-2-2022-BN24/AAT-23-2-2022/aat-27-2-2022/ayokatDSC_0645.jpg)
আমার বাড়ি নদীর ওপারে আশুলিয়া থানার রোস্তমপুর গ্রামে। ওপারে চাষবাস করতাম কিন্তু জমি জায়গা না পেয়ে এপারে তুরাগ থানার পাশেই এই বড় বড় প্লটের মালিক স্যারদের সঙ্গে দেখা করে তাদেরকে বুঝিয়ে এবার আমি তিন বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছি। গতবছর ভালো ফলন পাইনি এবার আশা করছি চার লাখ টাকার ওপরেই বিক্রি করতে পারব ইনশাআল্লাহ। বাহুবলী জাতের টমেটোতে ফলন অনেক বেশি, প্রতি গাছে ৮-১০ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।
![](https://banglanews24.com/public/userfiles/images/BN24-22-1-2022/25-1-2022/29-1-2022/31-1-2022-AAT/03-2-2022/6-2-2022/AAT-07-2-2022/09-02-2022-aat/09-02-2022-aat-1/10-2-2022-aat/14-2-2022-AAT/BOIMALA/21-2-2022-BN24/AAT-23-2-2022/aat-27-2-2022/ayokatDSC_0647.jpg)
বাহুবলী টমেটোর চারা লাগানো ও সেচ দেওয়া, সবমিলে আমার ৯০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে গেছে। নিজের টাকা পয়সা না থাকায় ঋণ করে আমি এই চাষবাস করেছি। তবে, আল্লাহর রহমতে আমি এবার ভালো ফলন পেয়েছি। আমার দুইটা বাচ্চা একজন পড়াশুনা করে, আরেকজন ছোট।
এই ছোট পরিসরে চাষবাস করেই সবার দোয়াতে ভালো আছি। তবে জমির মালিকদের কিছুই দেওয়া লাগে না। স্যারেরা আমাকে বলেছে তুমি চাষবাস করে খাও কোন অসুবিধা নেই। আমার জমির মালিক স্যারেরা অনেক ভালো, যখন আসেন তখন ক্ষেতে যে ফসল থাকে তাই কিছু দিয়ে দেয়, তাতেই স্যারেরা খুশি হয়ে যায়। বিক্রি করেন কোথায় কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিক্রি করতে কষ্ট পেতে হয় না। ক্ষেত থেকে বেপারিরা এসে নিয়ে যায়। কারওয়ানবাজার ও মিরপুর ১ নম্বর পাইকারি মার্কেটে, আমার মার্কেটেও যাওয়া লাগে না। এবছর প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি, তবে সবচেয়ে বড় কথা আমার নিজের হাতে লাগানো টমেটোতে কোনো ধরনের কেমিক্যাল দেওয়া ছাড়াই সরাসরি গাছ থেকে উঠিয়ে আমি বাজারে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
জিএমএম/এএটি