ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

সন্তোষের ক্ষেতে বেগুনি ও হলুদ ফুলকপি! 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
সন্তোষের ক্ষেতে বেগুনি ও হলুদ ফুলকপি!  রঙিন ফুলকপি

নেত্রকোনা: নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলায় রঙিন ফুলকপি চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন সন্তোষ বিশ্বাস (৫১) নামে স্থানীয় এক কৃষক।  

বেগুনি বা রাণী গোলাপি ও হলুদ রঙের এই ফুলকপি দেখতে খুবই সুন্দর।

এই কপি চাষে কোনো প্রকার কীটনাশক বা স্যার ব্যবহার করা হয়নি, শুধু জৈব স্যার ব‍্যবহার করছেন বলে জানান তিনি। একই পরিমাণ খরচে অধিক লাভ হওয়ায় এই কপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন স্থানীয় অন্যান্য কৃষকরাও।

নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা সদর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ বিশ্বাস। এ বছর ২৫ শতাংশ জায়গায় লাউ, ঢেঁড়শ, ফুলকপি, বেগুন, টমেটো, শিম, শশাসহ বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করেছেন। তার পাশাপাশি উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে বেগুনি ও হলুদ ফুলকপি চাষ শুরু করেন তিনি। এতে করে ভালো ফলন ও মূল্য বেশি পাওয়ায় খুবই আনন্দিত সন্তোষ বিশ্বাস। এছাড়াও অন্যান্য কৃষকরা এই কপি চাষে আগ্রহী হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

সন্তুোস বিশ্বাস জানান, এতদিন আমি সাদা ফুলকপি চাষ করে এসেছি। রঙিন ফুলকপি দেখিনি। কিন্তু কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী অল্প কিছু জায়গায় এই রঙিন ফুলকপি চাষ করেছিলাম। ফলনও হয়েছে ভালো। মূল্যও ভালো পাচ্ছি। উৎপাদন খরচও একই। তবে রঙিন হওয়ায় বাজারে এই ফুলকপির দাম দ্বিগুণ। ’ বারহাট্টা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ২শ বীজ এনে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে ২ শতাংশ জমিতে রোপণ করে প্রায় ২০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন তিনি।

স্থানীয় কৃষক লতিবুর রহমান জানান, ‘এই প্রথম সন্তোষ বিশ্বাসের জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ দেখেছি। দেখতে খুব সুন্দর। বাজারে দামও বেশ ভালো। আগামী সিজনে আমি এই রঙিন ফুলকপি চাষ করবো। আশাকরি কৃষি অফিস আমাকে সহযোগিতা করবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাকিবুল হাসান বাংলানিউজকে জানান, ‘রঙিন ফুলকপি ভিটামিন-সি, ই, কে, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যারোটেনেয়ড সমৃদ্ধ সবজি। এই সবজি ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে থাকে। রঙিন ধরনের শাক-সবজির প্রতি কৃষক সন্তুোস বিশ্বাসের আগ্রহ অনেক বেশি। সেজন্য তিনি রাণী গোলাপী (বেগুনি) ও হলুদ ফুলকপি প্রথম চাষ করে অধিক লাভবান হয়েছেন।  

আমরা চাই সব কৃষকের মাঝে তথ্যপ্রযুক্তির নতুনত্ব পৌঁছে দিতে। সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আশা করছি তার দেখাদেখি অন্যান্য কৃষকরাও এই রঙিন ফুলকপি চাষ করতে আগ্রহী হবে। প্রয়োজনে আমরাও বিভিন্নভাবে তাদের সহযোগিতা করে যাবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।