ভোলা: ভোলায় এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে মোটামুটি লাভ পাবেন বলে আশাবাদী চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্ষেত থেকে আলু তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। কেউ আবার বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কৃষকরা জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে সৃষ্ট প্রকৃতিক দুর্যোগে আলু আবাদে শুরুতে ফলন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন ভোলার আলু চাষিরা। তবে সেই দুর্যোগ কাটিয়ে ঘুরে দাড়িয়েছেন কৃষকরা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। এতে বেশ খুশি চাষিরা। সন্তোষজনক ফলন পাওয়ায় কৃষকদের আলু চাষে আগ্রহও অনেক বেড়ে গেছে।
এ বছর আলু ক্ষেতে কোর রোগ বা পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ছিলো না। তাই ফলনে বিপর্যয় হয়নি।
জেলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামে দেখা যায়, কৃষককের বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে আলুর বাম্পার ফলন। ক্ষেত থেকে আলু তোলা এবং বাজারজাতকরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষক আ. রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, ১৫ গণ্ডা জমিতে আলুর আবাদ করেছি, ফলন অনেক ভালো হয়েছে। প্রথম ধাপে ১০ হাজার টাকার আলু বিক্রি করেছি। ক্ষেতে এখনও অনেক আলু আছে, সেগুলো বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আলুচাষি মো. বাবুল বাংলানিউজকে বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে আমি আলুর আবাদ করছি। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার আলুর ফলন অনেক ভালো। এ বছর ২০ গণ্ডা জমিতে আলুর আবাদ করেছি, ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। ক্ষেত থেকে আলু তুলেছি। এবার আলু বিক্রি করে লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।
একই এলাকার আলুচাষি সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এলাকার বেশিরভাগ চাষি আলুর ফলন নিয়ে খুশি। আলু আবাদে অনেকের আগ্রহ বেড়ে গেছে।
এদিকে প্রতি বছরই ভোলার কৃষকদের উৎপাদিত আলু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় বিভিন্ন জেলায়। এতে আলু চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন।
ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর বাংলানিউজেকে বলেন, এ বছর ভোলায় লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি আলুর আবাদ হয়েছে এবং হেক্টর প্রতি উৎপাদন হচ্ছে ২২ মেট্রিক টন। এতে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন সময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে আরও বেশি আলুর আবাদ হবে বলে আমরা আশাবাদী।
এ বছর জেলায় ৫ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। যা থেকে ১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হবে বলে মনে করছে কৃষিবিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২২
এসআরএস