ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

ইটনা হাওরের নিচু জমির বোরো ক্ষেতে পাহাড়ি ঢলের পানি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২২
ইটনা হাওরের নিচু জমির বোরো ক্ষেতে পাহাড়ি ঢলের পানি 

কিশোরগঞ্জ: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়েছে কিশোরগঞ্জের ইটনা হাওরের নদী ও খালে। এতে হাওরের নদী ও খাল সংলগ্ন অপেক্ষাকৃত নিচু জমির আধাপাকা বোরো ধান তলিয়ে গেছে।

অপরিপক্ক এসব বোরো ধান কাটতে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা।

শনিবার (০২ এপ্রিল) বিকেল থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি এসব বেরো ধানের জমিতে প্রবেশ করে।  

স্থানীয় কৃষকরা জানান, শনিবার (০২ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত এসব জমিতে পানি ছিল না। কিন্তু বিকেল থেকে বোর ধানের জমিতে পানি ঢুকেছে। কোনো উপায় না পেয়ে নিজেরাই পানির নিচ থেকে আধাপাকা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুকনো মৌসুমে নদীর তীর ও খালের নিচু জমিতে বোরো ধান লাগায় কৃষকরা। পানি বেড়ে গেলে নিচু ধানী জমিগুলো তলিয়ে যায়। এবার আগেভাগে পানি আসায় জমিগুলো তলিয়ে গেছে। ইটনা উপজেলার বাদলা হাওর, এরশাদ নগর, আলালের বন, ধনপুর, বেতেগাসহ এলংজুরী ইউনিয়নের বিভিন্ন হাওর ও করিমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাওরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকেছে।  

এদিকে কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, মূল হাওরগুলোতে এখনো পানি ওঠেনি। শুধুমাত্র নদী ও খালের মধ্যে অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে পানি ঢুকেছে। ফসল রক্ষার বাঁধগুলো এখনো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এনিয়ে মাঠে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন কাজ করছে।

এব্যাপারে কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, প্রকল্প এলাকার বাহিরে, নদী ও খালের মধ্যে এ পানি ঢুকেছে। সেখানে আমাদের বাঁধ নেই। মূল হাওরে পানি ঢোকেনি।  আমাদের ফসল রক্ষার বাঁধগুলোর ক্ষতি হয়নি।  

অপরদিকে জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, ইটনার হাওরের নদী ও খালের মধ্যে অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে লাগানো বোরো ধানের ক্ষেতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকেছে। এনিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তারা যোগাযোগ রাখছেন। কী পরিমাণ বোরো ধানের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা নিরূপণের কাজ চলছে। তবে বৃষ্টিপাত না হলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। যে সমস্ত জমির বোরো ধান ৮০ ভাগ পেকেছে, তা দ্রুত কৃষকদের কেটে ফেলার অনুরোধ জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ছাইফুল আলম জানান, কৃষকদের সঙ্গে কৃষি কর্মকর্তারা যোগাযোগ রাখছেন। কী পরিমাণ বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা নিরূপণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।