নীলফামারী: কৃষক প্রতি বিঘা জমি থেকে তুলছেন ৭০ থেকে ৮০ মণ পেঁয়াজ। কিন্তু এ সাফল্যেও হাসি নেই তাদের মুখে।
সৈয়দপুরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হওয়া সত্ত্বেও এ অবস্থা। এক কেজি মোটামুটি ভালোমানের চালের দাম অন্তত ৬০ টাকা। এখন এমন এক কেজি চাল কিনতে কৃষকের বিক্রি করতে হচ্ছে প্রায় চার কেজি পেঁয়াজ। মৌসুম শেষেই আবার চড়া দামে কৃষককেই কিনে খেতে হবে তারই উৎপাদিত পণ্য।
এদিকে পেঁয়াজের সংকট ও বাজারের অস্থিরতা কাটাতে সরকারই কৃষকদের এ চাষে উৎসাহী করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় সাফল্যও পেয়েছেন তারা। সৈয়দপুরের বিভিন্ন মাঠে এখন তাদের পেঁয়াজ তোলার ব্যস্ততা। প্রতি বিঘায় কৃষক বড় পেঁয়াজ তুলছেন ৭০-৮০ মণ করে। কিন্তু চড়া দামের পেঁয়াজের বাজার হঠাৎ করেই পড়ে গেল। প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের খরচ যেখানে ৩০ টাকার কাছে, সেখানে দাম পাচ্ছেন মাত্র ১৫ থেকে ১৭ টাকা।
আর্থিক অবস্থা নাজুক হওয়া এবং মজুদ করার জায়গার সংকটসহ নানা কারণে কৃষকদের মৌসুমেই ফসল বিক্রি করতে হয়। এ সুযোগই নিয়ে থাকেন ফড়িয়া ব্যবসায়ী ও মজুদদাররা। সারা বছরই ঠকতে থাকেন কৃষক। এবার এ উপজেলায় পেঁয়াজ চাষ হয়েছে ৩৮ হেক্টর জমিতে। সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের মত মতো অনেক গ্রামেই বাড়ির আঙিনা জুড়ে এখন পেঁয়াজের গাদা। ভালো ফলনের কারণে এবার পেঁয়াজ সংকট হবে না- আশা কৃষি কর্মকর্তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২২
এসআই