নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরের পাঁচটি ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়।
ঝড়বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার শতাধিক হেক্টর জমির আধা পাকা ধানক্ষেত, ভুট্টাক্ষেত, আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা থেকে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এ ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি, উড়ে গেছে ঘরের টিন, ভেঙে গেছে হাজার হাজার গাছের ডালপালা।
এছাড়া ঝড়বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে শতাধিক হেক্টর জমির আধা পাকা ধান, ভুট্টা, আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ও কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার রাশেদুজ্জামান।
বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি, দক্ষিণ দুরাকুটি, কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইসমাইল, ফকিরপাড়া, রাজিব, নিতাই ইউনিয়নের নিতাই কাচারীর বাজার, মুশরুত বেলতলিসহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, শুক্রবার মধ্যরাতের কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে অনেক ঘরবাড়ি উড়ে গেছে। আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ভেঙে গেছে।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ফকির পাড়ার ভুল্লামিয়া বলেন, কালবৈশাখী ঝড় আমাদের গোটা গ্রাম তছনছ করে দিয়েছে। আর কয়েকদিন পর ভুট্টা ও ধান কাটা যেত। বর্তমানে ধান ও ভুট্টাক্ষেতগুলো মাটিতে নুয়ে পড়েছে। ঝড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
এদিকে বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপটন, মাগুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু, কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু, নিতাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোত্তাকিনুর রহমান আবুসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন যে গতরাতের ঝড়ের কারণে গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়ে মৌসুমি ফল লিচু, আম ও কাঁঠালের।
সৈয়দপুরের পাঁচটি ইউনিয়নেও ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়েছে। ধান ও ভুট্টা গাছ মাটিতে পড়ে গেছে। এতে করে করে ফলন কম হবে বলে কৃষকরা জানান। মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
এসআই