বরগুনা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'অশনি'র প্রভাবে বরগুনায় টানা দুই দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন।
মঙ্গলবার (১০ মে) বরগুনা সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে একই চিত্র দেখা গেছে।
ঘুর্ণিঝড় 'অশনি' মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গত সোমবার থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বর্ষণে বরগুনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে গ্রামের মুগ ডাল, তরমুজ ধানসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে ভাসছে, ফসলের মাঠে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অধিক উচ্চতায় বিষখালীসহ ছোটবড় নদ-নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ছোট ছোট স্লুইচ গেট থেকে পানি নামতে অনেক সময়ের অপেক্ষা। ভারী বৃষ্টিতে বোরো ধান ও আগাম বিভিন্ন বীজসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কৃষক রহিম মিয়া জানান, গত দিন থেকে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি'র প্রভাবে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে বোরো ধান, আগাম আউশ বীজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত দিন থেকে পানিতে ডুবে আছে বোরো ধানসহ আউশের বীজ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের খাজুরতলা, পুরাকাটা, কদমতলা, কেওড়াবুনিয়া এলাকার আট থেকে দশটি ফসলের মাঠের পানি নিষ্কাশন দুইটি স্লুইচ থেকে। যে পরিমাণ পানি ফসলের মাঠে আছে তা নামতে আরও দু'তিন দিন সময় লাগবে। এতে আউশের বীজ পচে যাবে। তাছাড়া এখন অনেকের ঘরেই আউশের ধান নেই। যা দিয়ে তারা আবার বীজ করবে। এখন আমরা আউশের বীজের জন্য সরকারের সহযোগিতা চাই। তা না হলে অনেক জমি খালি থাকবে।
বুড়িরচর ইউনিয়নের আমজদ মার্কেট, চল্লিশ কাউনিয়া গ্রামের কৃষক বেল্লাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় 'অশনি'র কারণে টানা ভারী বৃষ্টিতে বোরো ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। যেসব ক্ষেতে ধানের ছড়া বের হয়েছিল তা নুয়ে পড়েছে। এছাড়াও অনেক মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে। জেলার কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ ছাড়া আমাদের কৃষকের আর কোনো উপায় নেই।
বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই ঘূর্ণিঝড় 'অশনি'র প্রভাবে ভারী বর্ষণে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি আরো দুই-এক দিন অব্যাহত থাকলে বোরো ধান ও আউশের বীজের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। তবে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যেসব সহোযোগিতা আছে বা আসবে সেটুকু কৃষকের কাছে পৌঁছাবো!
বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
আরএ