ফেনী: কোনটি লাল, কোনটা হলুদ, আবার অন্যটি সবুজ। কোনটা গোল তো কোনটা আবার চ্যাপ্টা!
একটি গাছেই ঝুলছে এমন বাহারি রঙের ও নানা জাতের আম।
সোনাগাজীর মুহুরী চেক প্রকল্পের ফেনী নদী তীরবর্তী এলাকায় সোনাগাজী অ্যাগ্রো কমপ্লেক্সে ছয় হাজার গাছের এই আমের বাগানটি তৈরি করেছেন সেনাবাহিনীর ওই সাবেক কর্মকর্তা।
বাগানের একটি গাছেই তিনি ফলাচ্ছেন ৩০ জাতের আম। ক্রমান্বয়ে সে গাছটিতে ১০০ জাতের আম ফলানোর পরিকল্পনাও জানান তিনি।
মেজর সোলায়মান জানান, ভারতের উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্মৌয়ের মালিহাবাদের এক নার্সারিতে ৮০ বছর বয়সী কলিমুল্লাহ খান নামের একজন একটি গাছে ৩৬০ জাতের আম ফলিয়েছেন। তার থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তিনি। ভারতের ওই লোকের বাগানটির বিষয়ে জেনে তিনিও তার বাগানের গাছটিতে প্রতিবছর নতুন নতুন জাত সংযোজন করছেন।
মেজর সোলায়মান জানান, তিনি তার এ খামারটির শুরু করেছিলেন ৬ একর জমিতে। সম্প্রসারিত হয়ে এখন সেটি ৬৫ একরের সমন্বিত খামার। খামারে বড় বড় পুকুরে মাছ চাষ হয়। পুকুরের চারপাশে দেশি-বিদেশি জাতের আমগাছ। আছে কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, নারিকেল, ড্রাগন, জামরুলসহ নানা ফলের গাছ। একপাশে গবাদিপশুর খামার, আরেক পাশে নার্সারি। আম গাছটি তার নার্সারির কাজের জন্য অন্যতম বিষয়। এ গাছটি নিয়ে রয়েছে তার অনেক পরিকল্পনা। মাঝারি গাছটির বয়স ২০ বছরের মতো হবে।
তিনি জানান, চলতি বছর এ গাছে বানানা, গোপালভোগ, হাঁড়িভাঙা,বারি ফোর, ল্যাংড়া জাতের আম এ বছর ধরেছে। আস্তে আস্তে বাকি জাতের আমগুলোও ফলবে বলে আশাবাদী তিনি।
বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমে গাছটিতে মোট ৩০ প্রজাতির আম ফলান তিনি। দেশি-বিদেশি অনেক বিখ্যাত আমের জাত রয়েছে এ গাছে।
মেজর সোলায়মান জানান, পুরো বাগানের সব গাছের চাইতে এ গাছটির যত্ন তিনি বেশি নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
এসএইচডি/এএটি