নবাবগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় সফল কৃষক মো. শরীফ বাবু বিস্ময়কর ফাতেমা ধানের ৩ কেজি বীজ থেকে প্রায় ২০ মণ ধান পেয়েছেন।
বাম্পার এই ফলন পেয়ে শরীফ বাবু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অন্যান্য কৃষকরাও যেন তার মতো বেশি ফলন পেয়ে লাভবান হতে পারেন সেজন্য ফাতেমা ধানের বীজ সবার কাছে বিক্রি করবেন।
সরেজমিনে সফল কৃষক মো. শরিফ আনোয়ার হোসেন বাবুর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ৬ মাস আগে অনলাইনের মাধ্যমে মাদারীপুর থেকে ফাতেমা ধানের ৫ কেজি বীজ আড়াই হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন। ধানের চারা ফেললে ২ কেজির মতো নষ্ট হয়ে যায়, ফলে ৩ কেজি পরিমাণের বীজের চারা ১৭ শতাংশ জমিতে রোপণ করেন শরিফ বাবু। একপর্যায়ে পাকা ধান কেটে ও মারাই করে প্রায় ২০ মণ ধান পান তিনি।
শরিফ বাবু ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের আলগীচর গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুস শরিফের ছেলে। তার মায়ের নাম মৃত মমতাজ বেগম। শরিফ বাবু ছিলেন একজন চাকরিজীবী। ‘কোভানটা বাংলাদেশ অপারেটিং লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ১৪ বছর চাকরি করেছেন তিনি। একপর্যায় কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে চাকরি ছেড়ে চলে আসেন গ্রামের বাড়িতে। শুরু করেন কৃষি কাজ। একে একে সাফল্য পেতে থাকেন তিনি। ধান ছাড়াও যেমন ভুট্টা চাষ, পাট, সরিষা, সূর্যমুখী, মুগডাল ইত্যাদি চাষ করেন তিনি। এছাড়া শরিফ বাবু আধুনিক প্রযুক্তিতে সোলার পাম্পের মাধ্যমে নদী থেকে সেচ কাজ পরিচালনা করে ভূগর্বস্থ পানি ব্যবহার করে অন্যদেরকেও নিরুৎসাহিত করে যাচ্ছেন।
এখন তার আর পেছনের দিকে তাকাতে হয় না। তিনি এখন পুরোপুরি একজন কৃষি উদ্যোক্তা। নিজে কাজ করেন এবং অন্যান্য কৃষকদের কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ করছেন।
শরিফ বাবু বাংলানিউজকে বলেন, কৃষি জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। জমিগুলোতে ঘরবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। কৃষি কাজে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এ কাজ একটি মহৎ পেশা। তাই কৃষি কাজে আমাদের এগিয়ে আসা উচিত। দেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে কৃষি কাজের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
এসআরএস