মাগুরা: মাগুরা আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রে ঢুকলেই চোখে পড়বে ‘‘ব্রুনাই কিং’’ জাতের আম গাছ। আম সাধারণত এক কেজি বা এর চেয়ে একটু বেশি হয়।
বৃহস্পতিবার (০২ জুন) বিকেলে আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, আমটি দেখতে অনেকটা পেঁপের মত লম্বা। কাঁচা অবস্থায় এর রং কালচে সবুজ। শ্রাবণ মাসের শেষ দিকে পাকে এ আম। যারা ব্রুনাই কিং আম খেয়েছেন, তারা জানালেন, এর স্বাদ অনেকটা ফজলি আমের মত।
মাগুরা আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মো. মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টার থেকে ব্রুনাই কিং আমের চারা সংগ্রহ করে অফিসের সামনে রোপণ করেছিলাম। গাছটিতে এ বছর ১০-১২টি আম ধরেছে। প্রত্যেকটি আমের ওজন অন্তত চার কেজি করে হয়েছে। এ জাতের আম দেখতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মসলা গবেষণা কেন্দ্র আসছেন।
মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ক ইমদাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ব্রুনাই কিং আমের চারা মূলত শালিখা উপজেলা আতিয়ার রহমানের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। আতিয়ার রহমানের ভাগিনা ব্রুনাই থেকে ২০১১ সালে এ জাতের আম গাছের একটি ডাল নিয়ে এসেছিলেন। সেখান থেকে এ ব্রুনাই কিং আমের চারা গোটা জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। যারা বাসা বাড়িতে ছাদবাগান তৈরি করবেন বা অফিসের সমনে এ জাতের আম গাছ রোপণ করা যেতে পারে। ব্রুনাই কিং আম গাছ আকারে ছোট হয়। বেশি লম্বা হয় না। তাই অল্প জায়াগার মধ্যে এ আম গাছের চারা রোপণ করা যায়। আমাদের হর্টিকালচার সেন্টারে এ জাতের আম গাছের চারা রয়েছে। অনেক সরকারি অফিসের সামনে এ জাতের আম গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি আমের চারা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা করে।
আরও পড়ুন:
মাগুরায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ‘ব্রুনাই কিং’ আম
আসছে সর্বোচ্চ চার কেজি ওজনের আম
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২২
এসআই