লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মো. সেলিম নামে এক কৃষক পরীক্ষামূলক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমে শখের বসে ৫০ শতাংশ জমিতে তৃপ্তি, ব্লাক ড্রাগন ও সুইট ড্রাগন জাতের তরমুজ চাষ করেছেন তিনি।
চাষাবাদ, বীজ ও মাচা তৈরিতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এর অধিকাংশ সহযোগিতাই করা হয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে। তার প্রকল্প দেখভাল করার জন্য একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাও নিয়োজিত রয়েছেন।
কৃষি বিভাগ বলছে, পরীক্ষামূলক এ চাষে সফলতা আসলে পুরো উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
কথা হলে কৃষক মো. সেলিম বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন থেকে কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনি শসা, বেগুন, ব্রুকলিসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছেন। এ মৌসুমে শসা চাষ করে তিনি অনেক লাভবান হয়েছেন। তার ক্ষেতের সবজি কমদামে ক্রেতাদের কাছে সরাসরি বিক্রি করছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি কোনো মধ্যস্বত্ত্বভোগী ব্যবহার করছেন না।
তিনি আরও জানান, বর্ষা মৌসুমে উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের করইতলা ব্লকে তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক গ্রীষ্মকালীন উন্নত জাতের তরমুজ চাষ শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে তাকে সহযোগিতা করা হয়েছে।
চরলরেন্স ইউনিয়নের করইতলা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) ও কমলনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর পরীক্ষমূলক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে কৃষক মো. সেলিমকে উৎসাহ দিয়েছে। এখানে তৃপ্তি জাতের হলুদ ও কালো রঙ্গের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। ক্ষেতে ভালো ফলন এসেছে। আমরা আশা করছি ওই কৃষক অনেক লাভবান হবেন।
কমলনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, ধানের পাশাপাশি কৃষকদের বিভিন্ন ফল ও শাকসবজি চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। তরমুজ একটি লাভজনক অর্থকারী ফসল। পরীক্ষামূলক উপজেলার চরলরেন্স, চরকাদিরা ও পাটারিরহাট ইউনিয়নে তিন জাতের বারোমাসি গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ শুরু করেছেন তারা। কৃষি অফিস থেকে সার, বীজ ও নগদ টাকাসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
তারা সফল হলে অনেকেই তরমুজ চাষে আগ্রহী হবেন বলে মনে করছেন এ কৃষি কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২২
জেডএ