চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার আট হাজার ১০০ হেক্টর জমির ফসল নির্ভর করে কুষ্টিয়ার জিকে (গঙ্গা-কপোতাক্ষ) সেচ প্রকল্পের ওপর।
এসব জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলান কৃষকরা।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার একটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নে জিকে সেচ প্রকেল্পর আওতায় চাষাবাদ হয়। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদরের বেশ কয়েকটি এলাকায় জিকের পানিতে চাষাবাদ চলে। আমন কিংবা বোরো মৌসুমে জিকের পানি সরবরাহ চালু থাকে। কিন্তু রবি মৌসুমে জিকের পানিতে টান পড়ে।
কৃষকদের অভিযোগ, এখন আমনের মৌসুম চলছে। এসময়ে বৃষ্টিপাতও ভালো হচ্ছে। তাই জিকের খালেও পানি দেখা যাচ্ছে। অথচ যখন বৃষ্টি হয় না, তখন জিকের পানির প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ঠিক সে সময়ে জিকের পানি পাওয়া যায় না। জিকে সেচের এ পানি প্রয়োজনের সময় পাওয়া যায় না, কিন্তু অপ্রয়োজনে পানির অভাব নেই।
নাগদাহ ইউনিয়নের কৃষক জমির উদ্দীন বলেন, এখন জিকের খালে পানির অভাব নেই। বৃষ্টির পানিতে খাল ভরে গেছে। আবার এখন জিকের পানিও ছাড়া হচ্ছে। কিন্তু যখন বৃষ্টির পানি পাব না, তখন আবার জিকের পানিও পাওয়া যায় না। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে জিকের কার্যক্রম।
কুমারী ইউনিয়নের জিকে প্রকল্পের আওতাধীন আরেক কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, কিছুটা স্বল্পমূল্যে জিকে পানি পাওয়া যায় বলে উৎপাদন খরচ অনেকটা কমে আসে। কিন্তু ঠিক সময়ে সেচের পানি পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়েই মেশিনের মাধ্যমে ক্ষেতে সেচ দেওয়া হয়। এতে খরচ আরও বেড়ে যায়।
আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সোহেল রানা বলেন, উপজেলার অর্ধেক কৃষকই জিকে সেচের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে জিকে খালে পর্যাপ্ত পানি রয়েছে। এটা যে শুধু বৃষ্টির পানি তা নয়, সেচের পানি সরবরাহও চলমান রয়েছে। তাই খালেও পানি দেখা যাচ্ছে। কৃষকরা আমন চাষাবাদে জিকের এ পানি ব্যবহার করছেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হোসেন শহীদ সরোওয়ার্দী জানান, জিকে পানির সেচ নিয়ে কৃষকদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় অভিযোগ পাওয়া যায়। সেসব অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। খরা মৌসুমে পানির প্রয়োজন বেশি থাকে, ঠিক সেসময় চাহিদা বেড়ে যায়। আবার জিকে প্রকল্পও ঠিকমতো পানি পায় না। তাই ওই শুষ্ক সময় এবং রবি মৌসুমে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২২
এসআই