শুরু হয়ে গেল ১৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা। ১ ডিসেম্বর বুধবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ মেলার উদ্বোধনী হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মহাপরিচালক কবি রফিক আজাদ, কবি আসাদ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সংস্কৃতি সচিব সুরাইয়া বেগম এনডিসি, হেদায়তুল্লাহ মামুন ও হামিদুল ইসলাম।
প্রতি বছরই কোনো একটি প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মেলার আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘রূপকল্প ২০২১: রূপায়ণে গ্রন্থ’। মেলায় অংশ নিয়েছে ১৫১টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংস্থার ২২৩টি স্টল। বিদেশি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অংশ নিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, ইরান কালচারাল সেন্টার এবং বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস।
বইমেলা মঞ্চে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সেমিনার, লেখক-পাঠক-প্রকাশক মুখোমুখি অনুষ্ঠান, রাজধানী ঢাকার ৪০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মুক্ত আলোচনা, মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক বিশেষ আলোচনা ও নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের মতো অনুষ্ঠান থাকছে।
দর্শনার্থীদের মেলায় ঢুকতে পাঁচ টাকা টিকিট কাটতে হবে। মেলা চলবে প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত । তবে ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বইপ্রতি কমিশন ২৫ শতাংশ। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ছাত্রছাত্রীরা দলগতভাবে বিনা টিকিটে বইমেলা পরিদর্শনের সুযোগ পাবে। মেলা শেষ হবে ১৬ ডিসেম্বর।
মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘অনেকে মনে করেন আধুনিক প্রযুক্তির কারণে বইয়ের প্রয়োজনীতা কমে গেছে। আমি মনে করি জ্ঞানের অন্বেষণের জন্য বইয়ের আবেদন থাকবে এবং থাকবে। তাই বলা যায় বইয়ের বিকল্প শুধু বই। ’
সবশেষে ঢাকের শব্দে শব্দে পুরো মেলা পরিদর্শন করেন অতিথিরা।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০৪০, ডিসেম্বর ০১, ২০১০