ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

‘একাত্তর, বিজয়ের সেই ক্ষণ’ সংকলনের প্রকাশনা উৎসব

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১০
‘একাত্তর, বিজয়ের সেই ক্ষণ’ সংকলনের প্রকাশনা উৎসব

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্রগুলো একসময় বিশ্ববাসীকে আলোড়িত করেছিল, জাগিয়ে তুলেছিল তাদের বিবেককে। এই আলোকচিত্রগুলোর দাবি আজও ফুরায়নি।

এগুলি নতুন প্রজন্মকে অনুভব করতে শেখাবে মুক্তিযুদ্ধের সমগ্রতা। আর এই উপলব্ধি থেকেই সি এম তারেক রেজা গ্রন্থনা ও সম্পাদনা করেছেন ‘একাত্তর : বিজয়ের সেই ক্ষণ’।   বইটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ের  আলোকচিত্র ও দলিলপত্রের সংকলন। দুঃখের সংবাদ, সংকলনটির কাজের শেষ দিকে এসে আকস্মিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রয়াত হন সি এম তারেক রেজা।

৮ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত হলো ‘একাত্তর : বিজয়ের সেই ক্ষণ’-এর প্রকাশনা উৎসব। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিম ম্যাকক্যাবে।

সংকলনটিতে স্থান পেয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ফটোসাংবাদিকদের ক্যামেরায় তোলা নানা ছবি। যার মধ্যে রয়েছে ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত যৌথ কমান্ডের ঢাকামুখী অগ্রযাত্রা, পাকিস্তানিদের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি দখল, তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান থেকে শুরু করে তাদের আত্মসমর্পণের ছবি, দলিল ও সংবাদপত্রের অংশবিশেষ। রয়েছে অবরুদ্ধ মানুষের বিজয় উল্লাস। আলোকচিত্র ছাড়াও সংকলনটিতে রয়েছে  যুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয় তখন মাত্র ৫০টি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল। পরে একে একে সকলেই স্বীকৃতি দেয়। ’

ড. আনিসুজ্জামান ইংরেজিতে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, ‘ছবি আমাদের অতীতে নিয়ে যায়। এই সংকলনটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ দুই সপ্তাহের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। এই ছবিগুলিও আমাদের অতীতকে উপলব্ধি করতে সহায়তা করবে। ’

অনুষ্ঠানে শুরুতেই প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয় মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্রগুলো নিয়ে তথ্যচিত্র। পরে প্রয়াত সি এম তারেক রেজাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়, যা গ্রহণ করেন তার স্ত্রী। অনুষ্ঠানে শেষ দিকে এসে ‘প্রাচ্যনাট’ শব্দ, আলো ও অভিনয়ের মাধ্যমে একাত্তরের সংগ্রাম ও বিজয়ের মুহূর্তগুলোকে জীবন্ত করে তোলে।

বইটি প্রকাশ করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সৌজন্যে নিমফিয়া পাবলিকেশন। এর শিল্প নির্দেশক সব্যসাচী হাজরা।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২১২৮, ডিসেম্বর ৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।