১.
আমার সকল প্রেমিকারই প্রেমিক থাকে
কোলে কাখে, মগ ডালের সবুজ পাতায় তাদের অনেক গল্প লুকানো থাকে।
কাকে কাকে যেন এসব গল্প শোনাতে শোনাতে আমার প্রেমিকরা নিয়মিত চুল বাঁধে
মাঝে সাঝে ভালো মন্দও রাঁধে, আমাকে সাধে
কিন্তু খাওয়ার সময় হয়ে ওঠে না আমার।
আমার প্রেমিকাদের প্রত্যেকেই অভিনেত্রী, ভালো অভিনয় জানে
আমি সহশিল্পী হিসেবে অভিনয় করে যাই, অভিনয়ে কাঁচা বলে
হিরো হতে পারি না, এ নিয়ে বিন্দুমাত্র আফসোস নাই।
তবে ব্যথা আছে, আছে হাসফাঁস
কারণ আমার সকল প্রেমিকারই কমন নাম ‘দীর্ঘশ্বাস’
২.
দরজা খুলে দিতেই একঝাঁক স্মৃতির পাখি হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে ঘরে, ঝনঝনিয়ে ওঠে সময়।
তাই
মগজে টোকা মেরে ফেলে দিলাম ধুলার রেণু
তুমি
সব ব্যথা তাড়িয়ে দাও ছাতিমের ঘ্রাণে
বুকে
বকুল ঘুমাক ভেজা ঘ্রাণ ছড়িয়ে।
৩.
তালাবে ভাসমান শাপলা ডাঁটায় কেবলই প্যাঁচ খায় সাঁতার না জানা পর্যটক। তালাব নির্বিকার, খোলা চোখে রহস্যময় হলেও স্বরূপে তালাব নিছক জলপাত্র।
বুক ভরা টলটলে জলে সে ধরে রাখে আমার সকল জন্মের প্রেমিকাদের। জলে ডুবে থাকা, লাল আর সাদা শাপলারা আমার নানা জন্মের প্রেমিকা হয়ে ফুটে থাকে শীতের কুসুম গরম জলে।
৪.
তোমার বদলে যাওয়া আমি টের পাই
বাতাসে নয়া ঘ্রাণ পাই, রেণুর দাগ পাই শরীরে।
আমি জানি একটা মানুষ দ্রুত বদলায় কী করে...
এখন তোমার খেলায় আমি ‘দুধভাত’, কিছুই করার নেই আমার
তাই আমি মদে ভিজিয়ে মুড়ি খাই, খৈ খাই, মাঝে মাঝে ঝরা ফুলের পাপড়ি খাই।
এসব দৃশ্য দেখে লোকে বলবে ‘মাল গেছে’, সত্যিই আমি গেছি
মগজ জুড়ে এলোমেলো বাক্য, কথা, উচ্ছ্বাস, কিন্তু তার লেজ নাই মাথা নাই
আঙুল নেড়ে দেখি আমার কি-বোর্ডে দাঁড়ি নাই কমা নাই।
জানালায় চোখ রেখে এসব ভাবতে ভাবতে যে গাড়িতে বাড়ি ফিরি
হঠাৎ দেখি সে গাড়ির চাকা নাই, এ নিয়ে আমার বিকার নাই।
ঠিকই রোজ রাতে ঠিকঠাক বাড়ি পৌঁছাই।
তুমি ভালো থেকো রাই
আমার বদলানোর সুযোগ নাই, মনে রেখো যমুনার জলে আমি ভাসাব আমাদের মৃত সন্তানের ছাই।
তুমি ভালো থেকো রাই।
৫.
শরীর দেখাইয়া লাভ নাই
পারলে মন দেখান
নইলে
অফ যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬