ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

তিনটি কবিতা | সানাউল্লাহ সাগর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৬
তিনটি কবিতা | সানাউল্লাহ সাগর

ছায়ার অহম
আলোর ডানায় বিবেকের তাবিজ লটকানো থাকুক! তুমি পরিশুদ্ধ তালে নেচে যাও রঙবাজ ঢুলিদের মঞ্চে। আমি মজনুর দরুদ জপে পরিত্যক্ত পথে নিজেকে খুঁজি— মুক্ত মিছিলের ফুসফুস হয়ে তোমার ইস্টিশনে মানুষ দেখি।

এই ইস্টিশনটা ঘুমের মাদুলিতে ভরে একদিন তোমার বাহুতে বেঁধে দিয়েছিলাম। সেদিন থেকে ফেরিওয়ালাদের বেগুনি হাসি আমার কোল ছেড়ে উড়ে গেছে। এখন খয়েরি বোতামে লুকানো মুহূর্তের আবদারে নিদ্রার অভিনয় করছি...


ইচ্ছের সন্তানেরা
বালিশের শরীরে ঠোঁটের ঘ্রাণ আর রৌদ্রের ভাঁজে ভাঁজে তোমার স্পর্শ—হাইতোলা বিকেলকে মাতাল করে দেয়। সাদাকালো পর্দার ইতিহাস পাঠে ফড়িঙচোখে বিস্ময় লেগেই থাকে। বর্ণতন্ত্রের সীমানায় থাকা মুখগুলো হাহাকারের গদ্যপথে বেঁচে আছে। সাদাজীবন খুলে আমাকে ডেকে যাও স্রোতের সুরে—আমি বরষার উরু ছুঁয়ে চন্দ্রনাথের চূঁড়ায় সাহসিকতার বীজ বুনেছি, জেগে থাকা আর্তনাদের গলায় পিপাসার জমজম ঢেলে দেবো বলে।

তুমি মিঠেশব্দের পতনমুল্লুক অথবা সুখ পোড়া গন্ধের অন্তর ঘুরে আসো।


সাত পাহাড়ের কান্না
হলুদ পাতার পাজরে ভোরের কঙ্কাল খেলা করে। শাপলার উঠোনে খেলি গোল্লাছুট। তোমার দৃষ্টিতে ছায়ার আহ্বান— শরীরে আতরের পেলবতা। নিশিশব্দে জেগে থাকা রূপার কৌটা খুলে চুষে নেই রূপকথার পাপড়ি। মায়ামৈথুন শিহরণ তুলে যায় কাপালিক ধ্যানে। দেখি জানালার গ্রিলে খেলা করে পরির চোখ, জড়ানো কণ্ঠের বাঙলায়নে সে বুঝে যায় অসুখ আমার প্রিয় বান্ধব।

চাঁদকে বলি, শুনে যাও দুঃখ জাগানিয়া সুর—আমি তো— দুখপাখির কুটুম, উড়ে উড়ে বেদনা বিলাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৬
এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।