ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

কিলোমাঞ্জারোর তুষার | আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (পর্ব-১)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৬
কিলোমাঞ্জারোর তুষার | আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (পর্ব-১)

[১৯৫৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারজয়ী আর্নেস্ট হেমিংওয়ে তার বিখ্যাত ‘কিলোমাঞ্জারোর তুষার’ গল্পটি লিখেছিলেন ১৯৩৮ সালে। এটিকে বিশ্বের সর্বেকালের সেরা গল্পের তালিকায় বেশ ওপরের দিকেই ঠাঁই দেন সাহিত্যবোদ্ধারা।

গল্পটিতে ১৯৩০-এর দশকে হেমিংওয়ের লেখক-জীবন ও ব্যক্তিগত জীবন প্রতিফলিত হয়েছে।
এতে তিনি মন্তব্য করেছেন, রাজনীতি, নারী, সুরা, অর্থ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা আমেরিকার লেখকদের নষ্ট করে দিচ্ছে। ধনী লোকজনরে সঙ্গে মাখামাখি তার লেখকসত্তার ক্ষতি করছে। এই বোধ স্পষ্টতই ফুটে উঠেছে গল্পটিতে। ব্যাপকার্থে, গল্পটিকে একজন লেখকের হারানো প্রজন্মের স্মৃতিচারণের উদাহরণ হিসেবে নেওয়াই সঙ্গত। যাদের ছিলো বিশ্বযুদ্ধ ও স্পেনের যুদ্ধ-অভিজ্ঞতা, যেসব যুদ্ধ তাদের মনে নৈতিকতা ও দর্শন নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একের পর এক স্মৃতিচারণে গল্পের নায়ক স্মরণ করতে থাকে বুলগেরিয়া ও কনস্টান্টিনোপলের পর্ববতমালা এবং একই সঙ্গে প্যারিসের একাকিত্বের দুঃসহ অনুভূতি আর ভেতরটা হঠাৎ করেই শূন্য হয়ে ওঠা।
খাটে শুয়ে শুয়ে গল্পের নায়ক সর্তক হয়ে ওঠে, যখন তার অস্থায়ী তাঁবুর চারপাশে শকুন হাঁটতে দেখে। ছায়ার ভেতর একটি হায়নোর আনাগোনা টের পায়। জেগে ওঠার আগেই মরে যাবো এটা জেনেই সে ঘুমাতে যায় এবং স্বপ্ন দেখে- একটি উদ্ধার বিমান তাকে তুষারাবৃত কিলোমাঞ্জারোর চূড়ায় নিয়ে গেছে। গোটা আফ্রিকায় যেটি সবচেয়ে উঁচু পর্বত। তার স্ত্রীরও স্বপ্নদেখা ঘুম ভেঙে যায় হায়েনার বিদঘুটে শব্দে। তাঁবুর বাইরে হায়েনাটা কেঁদে ওঠে অদ্ভূতভাবে। সে কান্নাটা মানুষের মতো।
]

কিলোমাঞ্জারোর তুষার
মূল: আর্নেস্ট হেমিংওয়ে
ভাষান্তর: মনজুর শামস

পর্ব-১
উনিশ হাজার সাতশো ১০ ফুট উঁচু কিলোমাঞ্জারো পর্বতটিকে আফ্রিকার সবচেয়ে উঁচু র্পবত বলে ধরা হয়। এর পশ্চিমদিকের চূড়া মাসাই ‘গাজে গাই’কে বলা হয় ঈশ্বরের গৃহ। চূড়াটির কাছেই জমে বরফ হয়ে যাওয়া একটি চিতার মরদেহ। কেউই ব্যাখ্যা করে বলেনি অত উঁচুতে চিতাটি কী খুঁজতে গিয়েছিলো।
‘চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে এখন আর কোনো ব্যথা নেই। ’ সে বললো। ‘তুমি তো জানো শুরুতে ব্যথাটা কেমন ছিলো। ’
‘সত্যিই তাই?
‘এক্কেবারেই সত্যি। অবশ্য বিটকেলে বিচ্ছিরি দুর্গন্ধের জন্য আমি সাংঘাতিকভাবে দুঃখিত। গন্ধটা নিশ্চই তোমাকে ভীষণ জ্বালাচ্ছে।  
‘ আরে নাহ! অমন করে বলো না তো লক্ষ্মীটি!’
‘ওই, ওদের দিকে তাকাও। ’ সে এবার বলে উঠলো। ‘ এখন বলো তো, কোনো দৃশ্য ওদের এভঅবে টেনে আনে, নাকি গন্ধ?’

লোকটি যে খাটটিতে শুয়ে রয়েছে, তা ছিলো একটি কুব্জকণ্টক গাছের বেশ অনেকখানি জায়গাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ছায়ায়। সে গাছের ছায়া ছাড়িয়ে প্রান্তরের ঝাঁঝা করা রোদ্দুরে তাকিয়ে দেখতে পেলো সেখানে বিশালাকার শকুনগুলোর তিনটি এরই মধ্যে মাটিতে নেমে এসেছে। এসেই অভব্য ভঙ্গিতে আসন গড়ে আরাম করে বসে পড়েছে। আরও গোটা বারো আকাশে চক্কর কেটে উড়ছে। উড়ে যেতে যেতে মাটিতে এগুলো দ্রুত-চলমান ছায়া ফেলে যাচ্ছে।
‘ট্রাকটা যেদিন বিগড়ে গেলো সেদিন থেকেই ওগুলো ওখানটায় রয়েছে। ’ সে বললো।
‘ আজই প্রথম ওদের কেউ মাটিতে এসে বসার সাহস পেলো। প্রথমে আমি খুব খেয়াল করে খুঁটয়ে খুঁটিয়ে দেখেছি কীভাবে ওরা ডানা মেলে ওড়ে। যাতে চাইলে পরে কোনো গলে। প ব্যবহার করতে পারি। এখন ব্যাপারটাকে বড্ড উদ্ভট মনে হয়।
 ‘আমি চাই তুমি তা করবে না। ’  তার কথার পিঠে সঙ্গিনী বললো।

‘আমি কথার কথা বলছি আরকি। ’ বাবে সে বললো। ‘কথা বললে আমার একটু বেশি আরাম লাগে। কিন্তু আমি তোমাকে বিরক্ত করতে চাই না। ’
‘তুমি ভালো করেই জানো, ওসবে আমি বিরক্ত হই না। ’ বলে উঠলো নারী। ‘আমি বরং কোনোকিছু করতে পারি না বলে ভীষণ অসহায় বোধ করি। আমি মনে করি, বিমানটা না আসা র্পযন্ত ব্যাপারটা আমরা যতটা সম্ভব সহজ করে তুলতে পারি। ’
‘ওহ! দয়া করে বলবে আমি কী করতে পারি? নিশ্চই এমন কিছু আছে যা আমি করতে পারি!’
‘তুমি আমার পাটা কেটে ফেলে এই হুজ্জত বরং থামাতে পারো। যদিও আমার তাতেও সন্দেহ রয়েছে। বা তুমি আমাকে গুলি করে মেরে ফেলতে পারো। তোমার হাতের নিশানা এখন খুব পাক্কা। আমিই তো তোমাকে গুলি করতে শিখিয়েছি। কি শেখাইনি আমি?’
‘দয়া করে ওভাবে বলো না তো! আমি কি তোমাকে একটু বই পড়ে শোনাতে পারি না?’
‘কী পড়বে?’
‘বইয়ের যে কোনো কিছু, যা আমরা পড়িনি। ’

‘আমি তো ধৈর্য ধরে শুনতে পারি না। ’ সে বলল। ‘কথা বলাটাই বরং সবচেয়ে সহজ। এসো আমরা ঝগড়া করি আর তাতেই সময় পেরিয়ে যাবে। ’
‘আমি তো ঝগড়া করি না! আমি কখনও ঝগড়া করতে চাই না। আমরা আর ঝগড়া করবো না। কেমন? তা সে আমরা যতই বিচলিত হই না কেন! বলা তো যায় না, ওরা হয়তো আজই অন্য একটি ট্রাক নিয়ে ফিরে আসবে। হয়তো বিমানটাই আসবে।
‘আমি সরতে চাই না। ’ লোকটি বললো। ‘এখন নড়াচড়া করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। শুধু তোমার জন্য একটু সুবিধা করে দেওয়া ছ‍াড়া। ’
‘ওটা কাপুরুষের মতো কাজ। ’

‘তুমি কি একজন মানুষকে বকাঝকা না করে তাকে তার মতো শান্তিতে মরতে দিতে পারো না? আমাকে জ্বালাতন করে কী লাভ?’
‘তুমি মরতে যাচ্ছ না। ’

‘বাজে বকো না তো! আমি এখনই মরছি। ওই বেজন্মাগুলোকে জিজ্ঞেস করে দেখো। ’ পালকের ভেতর ন্যাড়া মাথাগুলো সেঁধিয়ে রাখা বিশালাকার শকুনগুলোকে দেখিয়ে  সে বলে উঠলো। এ সময় বিমানের মতো ডানা মেলে চর্তুথ শকুনটা মাটিতে নেমেই দ্রুত পা চালিয়ে শরীরের ভারসাম্য ঠিক করে নিলো। তারপর ধীরে ধীরে হেঁটে অন্য শকুনগুলোর  কাছে চলে গেলো।
‘প্রতিটি তাঁবুর আশেপাশেই এরা আছে। তুমি কখনও খেয়াল করে দেখোনি। হাল ছেড়ে না দিলে কিছুতেই তুমি মরতে পারো না। ’
‘তুমি এসব কোথায় পড়েছো? তুমি যা এমন একটা বেজন্মা বোকার হদ্দ না!’
 ‘তুমি অন্য কারো কথা ভাবতে পারো। ’
‘যিশুর দোহাই, ওটা আমার ব্যাপার। ’ সে বললো।

এরপর সে শুয়ে পড়লো এবং কিছুক্ষণের জন্য শান্ত হয়ে রইলো। আর ঝাঁ ঝাঁ উত্তপ্ত সমতল প্রান্তর পেরিয়ে জঙ্গলের কিনার র্পযন্ত দৃষ্টি মেলে দিলো। কয়েকটা কয়েকটা টমি গ্যাজল হরিণ জঙ্গল-প্রান্তরের হলুদ দৃশ্যপটে তাদরে দেহের এক ঝলক সাদা দেখিয়েই অদৃশ্য হয়ে গেলো। (টমি গ্যাজল হরিণ আফ্রিকা, বিশেষ করে পূর্ব আফ্রিকায় বেশি দেখা যায়। এসব হরিণের লম্বা, চোখা শিং থাকে। পিঠ শেয়াল রঙের এবং পেটের একটু উপর থেকে মোটা কালো এক সীমান্তরখোর পর থেকে পুরো পেট সাদা রঙের।

আরও অনেক দূরে জঙ্গলের সবুজ দৃশ্যপটে সে একদল হরিণের সাদা চিহ্ন দেখতে পেলো। একটি পাহাড়ের উল্টোপাশে বড় বড় গাছের নিচে ভারি চমৎকার এক তাঁবু এটি। ভালো পানিও আছে এবং কাছেপিঠেই পানির একটি শুকনো র্গত। সকালে যেখানে এসে বালি-বনমোরগ ওড়াউড়ি করে (বালি-বনমোরগ দেখতে অনকেটা ঘুঘুর মতো, তবে দখেতে ঘুঘুর চেয়ে অনেক বড়)।

‘তুমি কি চাচ্ছো না, আমি তোমাকে পড়ে শোনাই?’ নারী জানতে চাইলো। লোকটার খাটের পাশে ক্যানভাসের একটি চেয়ারে বসে ছিলো সে। মৃদু বাতাস বয়ে আসছিলো।
‘না, ধন্যবাদ। ’
‘হয়তো ট্রাকটা চলে আসবে। ’
‘ট্রাকের আমি থোরাই কেয়ার করি। ’
‘আমি করি। ’
‘তুমি এমন অনেককিছুকেই পাত্তা দাও, আমি যেগুলোকে একদমই গুনি না। ’
‘খুব বেশি কিন্তু তা নয়, হ্যারি। ’
‘আচ্ছা, একটু ড্রিঙ্ক করলে কেমন হয়?’

‘আমার মনে হয়, এটা তোমার জন্য খুব খারাপ হবে। সব ধরনের অ্যালকোহলই তোমার জন্য নিষিদ্ধ। তোমার ড্রিঙ্ক করা উচিৎ নয়।
‘মোলো!’ সে চিৎকার করে ডাকল।
‘জিবুয়ানা (পূর্ব আফ্রিকায় মালিক বা প্রভুকে বুয়ানা বলা হয়)। ’
‘হুইস্কি-সোডা নিয়ে এসো। ’
‘জি হুজুর। ’

‘তোমার এসব উচিৎ নয়,’ বলে উঠলো নারীটি। ‘তার মানে আমি বলতে চাইছি, তোমার ড্রিঙ্ক করা ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। স্বাস্থ্যবিদ্যায় যা বলা হয়, সে অনুযায়ী তোমার জন্য এটি খারাপ। আমি জানি, এটা তোমার জন্য খারাপ। ’
‘না,’ সে বলে দিলো। ‘আমার জন্য এটা ভালো। ’

এখন তাহলে এখানেই সব শেষ! সে ভাবলো। সুতরাং ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে, সে আর কখনও এটা শেষ করার সুযোগ পাবে না! আর তাই ব্যাপারটা এভাবেই শেষ হয়ে গেলো! মদের গেলাসে চুমুক দিয়ে দিয়েই! ডান পায়ে গ্যাংগ্রিন শুরু হওয়ার পর থেকেই আর কোনো ব্যথা নেই এবং ব্যথার সঙ্গে বিভীষিকাটাও কেটে গেছে। এখন সে কেবল ভীষণ ক্লান্তি বোধ করে এবং এটা ভেবে মনে মনে ভীষণ রাগ হয় যে, ব্যাপারটার এখানেই সব শেষ। আর সেজন্যই তার ভেতরে কৌতূহল কাজ করে খুবই কম।

বছরের পর বছর ধরে ব্যাপারটা তাকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছিলো; কিন্তু এখন এটা নিজের নিজের ভেতরেই আর কোনো অর্থ বহন করে না। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, কত সহজেই না ওরফে ক্লান্তি ব্যাপারটিকে এই পর্যায়ে নিয়ে গেলো!

এখন সে সেইসব আর লিখবে না, যা সে লিখবে বলে ঠিক করে রেখেছিলো, অন্তত যতদিন না সে সেইসব ব্যাপারে ভালোমতো লেখার জন্য যথেষ্ট জ্ঞানগম্মি হচ্ছে। সে অবশ্য সেসব লেখার জন্য অবিরাম চেষ্টা করে যেতে পিছপা হবে না। যাই হোক, এই মুহূর্তে সে তা কিছুতেই জানতে পারবে না।

‘আমি চাইনি আমরা কখনও এখানে আসি, নারী বললো। গ্লাসটা ধরে সে তার দিকে তাকিয়ে ছিলো আর নিজের ঠোঁট কামড়াচ্ছিলো। ‘প্যারিসে তোমাকে কখনও এই ধরনের কোনো হুজ্জুতে পড়তে হতো না। তুমি সব সময়ই বলে এসেছ যে তুমি প্যারিসকে ভালবাসো। আমরা প্যারিসেই থেকে যেতে পারতাম বা অন্য কোনো জায়গায় চলে যেতে পারতাম। আমি তো যে কোনো জায়গাতেই চলে যেতে পারতাম! আমি তো বলেছিই, তুমি যেখানে চাইবে আমি সেখানেই যাবো। তুমি যদি বন্দুক ছুড়ে শিকার করতে চাইতে তা হলে তো আমরা হাঙ্গেরিতেই চলে যেতে পারতাম এবং বেশ আরামে দিন কাটাতাম। ’

‘নিকুচি করেছে তোমার ওই বেজন্মা টাকার’, লোকটি বলে উঠলো।

‘ওটা মোটেও শোভন নয়’, নারী বলল। ‘এই অর্থবিত্ত যতটুকু আমার ততটুকু তোমারও। আমি সবকিছুই ছেড়েছুড়ে এসেছি এবং তুমি যেখানে যেতে চেয়েছো আমি সেখানেই গেছি। কিন্তু আমি কখনও এখানে আসতে চাইনি। ’

‘তুমি বলেছিলে, এই জায়গাটিকে তুমি ভালবাসো। ’

‘আমি তা বলেছিলাম তুমি যখন সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলে। কিন্তু এখন আমি এই জায়গাটিকে ঘেন্না করি। তোমার পায়ে কেন এমন বিচ্ছিরি ব্যাপারটা ঘটলো আমি তার পেছনে কোনো কারণ দেখতে পাই না। আমরা এমন কী করেছি যে আমাদের বেলায়ই এমনটি ঘটবে?’

‘আমার মনে হয় প্রথম যখন ওখানটায় নখ দিয়ে চুলকেছিলাম তখন চুলকানোর পর আয়োডিন লাগানোর কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম বলেই গ্যাংগ্রিন হয়েছে। তার পরেও এই পায়ের ওপর আমি কোনো মনোযোগ দিইনি, কারণ এর আগে আমি কখনো এভাবে সংক্রামিত হইনি। এরপর, পরে যখন অবস্থা আরো খারাপ হয়ে গেল, তখন অন্যান্য অ্যান্টিসেপটিক ফুরিয়ে যাওয়ায় সম্ভবত পানির মতো পাতলা কার্বলিক দ্রবণ ব্যবহার করা হয়েছিলো আর এতে প্রান্তীয় রক্তনালীগুলো অবশ হয়ে পড়েছিলো এবং গ্যাংগ্রিন শুরু হয়ে গিয়েছিলো। ’ বলেই সে নারীর দিকে তাকিয়ে বললো, ‘আর কিছু?’
‘আমি তা বোঝাতে চাইনি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৬
এসএমএন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।