মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাতে শেষ হয় এ স্মরণোৎসব।
মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল পৌর মিলনায়তন মাঠ প্রঙ্গণে অনুষ্ঠিত উৎসবের সমাপনি দিনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন উপমহাদেশের বিখ্যাত লালন শিল্পী লালন কন্যা নামে খ্যাত ফরিদা পারভিন।
বিকেল ৪টা থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে স্থানীয় লালন শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। সন্ধ্যায় লালন পরিষদের উপদেষ্টা একুশে বইমেলা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান স্বপনের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-পাবনার জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-মুক্তিযোদ্ধা প্রখ্যাত বংশীবাদক গাজী আব্দুল হাকিম, পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রিয়াজুল হক রেজা, রানা গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বিশ্বাস রানা, নাট্যকার নির্দেশক শ্রী গনেষ দাস, সাহিত্যিক অধ্যাপক সমীর আহমেদ প্রমুখ।
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবৃত্তিকার স্বাধীন মজুমদার, মুস্তাফিজুর রহমান রাসেল, শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে স্থানীয় টিভি চ্যানেল পাবনা ক্যাবল ভিশন (এইচ ডি)।
সপ্তমবারের মত আয়োজিত লালন উৎসবের দ্বিতীয় দিনের প্রধান অতিথি পাবনা জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের সবার মধ্যে লালন দর্শন ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি কর্মীরা কখনো তাদের সংগ্রাম থেকে পিছিয়ে আসেনি। লালন সাঁই সব সময় তার কথার মধ্যে মানুষকে সম্মান করার কথা বলেছেন। লালন দর্শন সব সময় সমাজের সব ধর্মের সমান অধিকারের কথা বলেছে। স্কুল-কলেজ এবং গ্রাম-গঞ্জে সব স্থানে আমাদের দেশি কৃষ্টি কালচার ছড়িয়ে দেবার জন্য লালন উৎসব করতে হবে। তবেই আমরা আমাদের শেকড়ের কাছে যেতে পারবো। বিদেশি সংস্কৃতি পরিহার করে আমাদের সংস্কৃতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে।
তীব্র শীত উপেক্ষা করে হাজারো দর্শক মাঠ প্রাঙ্গণে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ০৯ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ