বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক গোলাম সারোয়ার।
তিনি বলেন, ওয়াহিদুল হক আজীবন কণ্ঠশীলন ভাবনাকে ধারণ করেছিলেন, স্বপ্ন দেখেছিলেন-কণ্ঠশীলনের সব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সারা দেশে কণ্ঠশীলনের কার্যক্রমকে ছড়িয়ে দিতে।
তিনি বলেন, এ আয়োজন কেবল অনুষ্ঠান নয়, কেবল পুনর্মিলন নয়, এই আয়োজন দেশের সব সাংস্কৃতিক কর্মীর এক বৃহৎ উৎসবে পরিণত হয়ে উঠবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ওয়াহিদুল হক একজন মঞ্জুভাষ মানুষ ছিলেন। সঙ্গীত বিষয়ে তার পাণ্ডিত্যের কথা কে না জানে। একাধারে বিজ্ঞানমনস্ক একজন প্রকৃত শিক্ষক, অসাম্প্রদায়িক যোদ্ধা, সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন তুখোর রাজনীতিক সচেতন মানুষ। তিনি একজন আবৃতির কারিগরও ছিলেন। আপনারা জানেন ৫৫ বছর ধরে তিনি নিজেকে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রেখেছিলেন। বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই তিনি লিখতেন। তার কর্মকে আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।
স্মারণিক মিলনোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, বিশেষ অতিথি থাকবেন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, নাট্যকার মামুনুর রশীদ, শব্দসৈনিক আশরাফুল আলম কবি তারিক সুজাত।
উৎসবের দ্বিতীয় দিনে শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞানপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রদায়ক গুণিক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গবেষক, লেখক মফিদুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রইস উল ইসলাম ও অধ্যক্ষ মীর বরকত প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
এমএইচ/এএটি