নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া স্মরণে রোববার (২৩ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমি আয়োজিত একক বক্তৃতায় একথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল।
একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে কবি রুবী রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
আকতার কামাল বলেন, ব্যক্তি রোকেয়া, লেখক রোকেয়া ও সংগ্রামী রোকেয়া; এই বিভিন্ন সত্তার অভিন্ন মানুষটি যেভাবে সামাজিক রক্ষণশীল বৃত্ত ভেঙে নারীর জন্য আলোকিত ভুবনের সন্ধান দিয়েছেন তা বিস্ময়কর। তার যুক্তিবোধ, ইহজাগতিক চেতনা তাকে সব সময় লড়াকু ভূমিকায় অবতীর্ণ করেছে।
‘এই লড়াই কখনো বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কখনো সমাজ সংস্কার আন্দোলন, আবার কখনো তার অসামান্য রচনার মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে। ’
তিনি বলেন, বেগম রোকেয়ার আলোকপথে আমরা অন্ধকার ভেদ করে সম্মুখে অগ্রসর হয়েছি। একটি অসম সমাজব্যবস্থার ভেতর থেকে তিনি যেমন লড়াই করে নিজে মুক্ত হয়েছেন, তেমনি এদেশের নারীদের দেখিয়েছেন মুক্তির পথরেখা।
সভাপতির বক্তব্যে কবি রুবী রহমান বলেন, রোকেয়া নারী জাগরণের মধ্য দিয়ে জাতীয় জাগরণের প্রয়াস পেয়েছেন। তার জীবনব্যাপী আলোক- সাধনায় তিনি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য এক সুন্দর আগামীর ক্ষেত্র প্রস্তুত করে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮
এইচএমএস/এএ