ঢাকা: রমজান এলেই সাধারণ ভোক্তার মনে শঙ্কা বেড়ে যায়। কারণ ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, ডাল, ছোলা, খেজুরসহ বেশ কিছু পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, রোজার সময় আমদানিকারক থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত আসতে পণ্যের দামের পার্থক্য অনেক বেশি বেড়ে যায়। অনেকে সুযোগ নেন। এ জন্য সরকারের নজরদারি বা তদারকি বাড়াতে হবে।
আমদানিকারকেরা বলছেন, এবছর যে পরিমাণ আমদানি হয়েছে ও হচ্ছে, তা রোজার চাহিদাকে ছাড়িয়ে যাবে। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসজুড়েও নিত্যপণ্য আমদানি হবে। ফলে সরবরাহ বাড়বে। নতুন নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিত্যপণ্য আমদানিতে যুক্ত হয়েছে। বন্দরগুলোতে দিন-রাত পণ্য খালাস চলছে। আমদানি করা কয়েক হাজার টন পণ্য নিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সাগরে ভাসছে জাহাজ। তবে দাম বাড়ানোর কৌশল হিসেবে আমদানিকারকরা খালাস না করে সাগরে ভাসমান গুদাম বানিয়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে আমদানি বাড়ানো ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্যে শুল্ক ছাড় দিয়েছিল। পাশাপাশি ঋণপত্র খুলতে এখন মার্কিন ডলারের সংকটও অনেকটা কেটেছে। সব মিলিয়ে আমদানিতে উৎসাহ বেড়েছে। সুফল হলো, বাজার স্থিতিশীল হয়েছে। দুই-একটি পণ্যের দাম কিছুটা কমেছেও।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও চট্টগ্রাম কাস্টমসের সূত্রে জানা গেছে, রোজায় বাজারে ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে প্রায় ৩ লাখ টন। গত জানুয়ারি মাসে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টন। আবার সয়াবিন তেল তৈরির কাঁচামাল সয়াবিনবীজ আমদানি হয়েছে ৩ লাখ টন। এই বীজ মাড়াই করে পাওয়া যাবে প্রায় অর্ধলাখ টন সয়াবিন তেল, অর্থাৎ রোজার চাহিদার চেয়ে বাজারে সরবরাহ বেশি থাকবে।
ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশে ভোজ্যতেলের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে, কোনো ঘাটতি নেই। গত দুই মাসে ভোজ্যতেলের আমদানি প্রায় ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রমজান উপলক্ষে পাইপলাইনে বেশ কিছু ভোজ্যতেলভর্তি জাহাজ চট্টগ্রামের বন্দরে নোঙ্গর করার অপেক্ষায় আছে। এগুলো অচিরেই স্থানীয় সরবরাহের সাথে যুক্ত হবে। পাইপলাইনে থাকা ভোজ্যতেলের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। সাবির্কভাবে, ভোজ্যতেলের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে।
ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ে কেউ কেউ অতিরিক্ত মজুদ করে থাকতে পারেন। আবার কেউ কেউ অধিক লাভের আশায় বোতল কেটে খোলা তেলে পরিণত করে তা বিক্রি করতে পারেন। অন্যদিকে, পার্শ্ববর্তী দেশে মূল্য অধিক হওয়ায় অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য হওয়ার আশঙ্কার কথাও বলেন তারা।
মেঘনা গ্রুপের প্রতিনিধি জিএম তসলিম শাহরিয়ার জানান, চলতি জানুয়ারিতে মোট ৪৭ হাজার ৬৬৮ হাজার টন সরবরাহ করেছেন। এর মধ্যে ১৫ হাজার টন বোতলজাত। পূর্ববর্তী বছরে মোট সরবরাহের ২৫ হাজার টনের মধ্যে ১২ হাজার টন ছিল বোতলজাত।
টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতাহার তসলিম জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে মোট ১১ হাজার ৮১০ মেট্রিক টন বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করেছেন, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলানিউজকে জানিয়েছে, পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে বাজারে ভোজ্যতেলের বাড়তি চাহিদা বিবেচনায় অ্যাসোসিয়েশনভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অধিক পরিমাণ ভোজ্যতেল সরবরাহ করছে। ভোজ্যতেলের সরবরাহের পরিমাণ বিবেচনায় সংকটের কোনো সুযোগ নেই। পবিত্র রমজানে বর্ধিত চাহিদা বিবেচনায় কতিপয় ব্যবসায়ীর মজুদের প্রবণতা থেকে যদি সংকট হয়ে থাকে, তা অচিরেই কেটে যাবে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য স্থিতিশীল থাকায় অস্বাভাবিক মুনাফার সুযোগ নেই।
এ ছাড়া দেশের শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লি. চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি ভোজ্যতেল আমদানি করেছে, যা আগামী ৭-১০ দিনের ভেতরে বাজারে প্রবেশ করবে।
সংগঠনটি আরও জানিয়েছেন, ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও মূল্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব যাতে না পড়ে, সেজন্য সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং বৃদ্ধি করা, ভোক্তাদের সহযোগিতা ও ধৈর্য একান্ত কাম্য, যা আমাদের এই প্রচেষ্টাকে সফল করতে আরও বেশি বেগবান করবে।
রোজায় চিনির চাহিদাও ৩ লাখ টনের মতো। বিগত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে জানুয়ারি মাসে ১ লাখ ৫৩ হাজার টন। বন্দরে এসে ভিড়েছে আরও প্রায় ১ লাখ টন চিনিসহ জাহাজ। ফেব্রুয়ারি মাসেও চিনি আমদানি হবে। বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম কমছে।
চিনি আমদানিতেও সরকার শুল্ক-কর কমিয়েছে। আগে প্রতি কেজি অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩৮-৪০ টাকা শুল্ক-কর দিতে হতো। এখন দিতে হচ্ছে প্রতি কেজি ২৩ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে শুল্ক-কর কমেছে প্রায় ১৫-১৭ টাকা। শুল্ক-কর কমানোর পর তিনটি প্রতিষ্ঠান চিনি আমদানি করেছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই), সিটি গ্রুপ ও আবদুল মোনেম সুগার রিফাইনারি। এখনো খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২৫ টাকা দরে। এক মাস আগে ছিল ১৩০ টাকা। অর্থাৎ শুল্কছাড়ের সুবিধা আংশিক পাচ্ছেন ভোক্তারা।
এ বিষয়ে সিটি গ্রুপের প্রতিনিধি (উপদেষ্টা) অমিতাভ চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, জানুয়ারিতে আমদানি বেড়েছে। পাইপলাইনে (আমদানি পর্যায়ে) থাকা পণ্য ফেব্রুয়ারি মাসে আসবে। অর্থাৎ বাজারে সরবরাহে ঘাটতি হওয়ার সুযোগ নেই। সিটি গ্রুপ জানুয়ারিতে মোট তেল সরবরাহ করেছে প্রায় ৫০ হাজার ৭০০ টন। এর মধ্যে ২২ হাজার ২৪২ টন বোতলজাত। অন্যদিকে ২০২৪ সালের একই মাসে বোতলে তারা সরবরাহ করে ১৪ হাজার ২৬২ টন।
অমিতাভ চক্রবর্তী আরও বলেন, আমাদের চিনি আমদানিও ভালো আছে। পাইপলাইনেও চিনি আছে, যা ফেব্রুয়ারিতে আসবে। সুতরাং রমজানে কোনো সংকট হবে না এটা বলতে পারি। বিশ্ববাজারও মোটামুটি স্থিতিশীল। তাতে দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ দেখছি না।
রোজায় ১ লাখ টনের মতো ছোলার চাহিদা রয়েছে। জানুয়ারি মাসে ছোলা আমদানি হয়েছে ৯৩ হাজার টন। ডিসেম্বরে এসেছিল আরও ১৫ হাজার টন। এক লাখ টন চাহিদার বিপরীতে জানুয়ারিতে মসুর ডাল এসেছে ৬২ হাজার টন। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ২৫ হাজার টন মসুর ডাল নিয়ে বন্দরে ভিড়েছে একটি জাহাজ। আরও আমদানি হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রোজায় মটর ডালের চাহিদাও বেশি থাকে। ব্যবসায়ীদের হিসাবে, রোজায় এক লাখ টন মটর ডালের চাহিদা রয়েছে। জানুয়ারিতে আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার টন।
ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিকাশ চন্দ্র শাহা বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর বাজারে ছোলা ডালের প্রচুর আমদানি রয়েছে। বাজারে কোনো ঘাটতি নেই। তবে হঠাৎ করে কিছু মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের যোগানে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু বাজারে পণ্যের সংকট নেই। রোজায় ছোলা, ডালের কোনো ঘাটতির সম্ভাবনা নেই।
হঠাৎ করে বাজারে ছোলার দাম কেজিতে ৩ টাকা বাড়ল কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত এক দেড় মাস আগে ছোলার দাম কমে ৯৩ থেকে ৯৭ টাকা কেজিতে চলে আসে। তখন ব্যবসায়ীদের কেনা ছিল ১১০ টাকার বেশি। এখন আবার সেটা ১০০ টাকা হয়েছে। এটা বাড়াতি বলা চলে না। ব্যবসায় লোকসানকে কভার করার জন্য দামে সমন্বয় করা হয়েছে। আমাদের লোকসান দিয়ে ব্যবসা করতে হয়েছে। সেটা কাটিয়ে উঠতে দুই একটি পণ্যে দাম বেড়েছে। এখনও আমরা অ্যাংকর ডাল লোকসান দিয়ে বিক্রি করছি, ৫৮ টাকা কেজির অ্যাংকর ডাল বিক্রি করছি ৪৮ টাকা কেজি দরে।
রোজায় খেজুরের চাহিদা ৬০ হাজার টন। জানুয়ারিতে এসেছে ২২ হাজার টন। বড় চালান আসবে ফেব্রুয়ারিতে। এভাবে রমজানের প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি হওয়ায় বাজারে সংকট থাকবে না বলে আমদানিকারকরা জানিয়েছেন।
এ ছাড়া দেশে পেঁয়াজের চাহিদার অন্তত ৩০ শতাংশ পূরণ করা হয় আমদানি করে। বছরের শেষ দিকে আমদানি বাড়ে। কারণ, তখন দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যায়। পেঁয়াজ আমদানি বাড়াতে গত সেপ্টেম্বরে ও নভেম্বরে শুল্ক–কর কমায় সরকার। এনবিআরের হিসাবে গত এক মাসে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৮২ হাজার টন। গত বছর একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ৬১ হাজার টন।
দেশে পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। দাম অনেকটাই কমেছে। রোজার মাস হবে হালি (বীজ থেকে উৎপাদিত) পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। ফলে দাম নিয়ে উদ্বেগ কম বলে ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করছেন।
সরকার গত বছর আলু আমদানিতে শুল্ক-করে ছাড় দেওয়ার পর মাত্র আলু আমদানি হয়েছে ৪০ হাজার টন। মাসিক চাহিদা আট লাখ টনের বেশি। ফলে আমদানি করা সামান্য আলু বাজারে বড় প্রভাব ফেলছে না। এছাড়া এখন আলুর ভরা মৌসুম। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর দাম ২০ টাকার নিচে নেমে এসেছে।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের এক আমদানিকারক জানান, রমজান মাসে বিভিন্ন পণ্যের অতিরিক্ত চাহিদা থাকে। এবার এসব পণ্যের চাহিদার বেশি আমদানি করা হয়েছে। চলতি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত আরও আমদানি করা হবে। রজমানে কোনো পণ্যের সংকট হবে না।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এবছর আমরা দেখতে পাচ্ছি রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে, সেসব পণ্যের আমদানি বেশি হয়েছে। আমাদের যে চাহিদা রয়েছে আর যেটা আমদানি হচ্ছে, সেটা পর্যাপ্ত বলে মনে হচ্ছে। আমরা বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের যে পার্থক্য অনেক সময় দেখি, সেটা স্থানীয় উৎপাদন ও যে পরিমাণ আমদানি হয়েছে, সেই নিরিখে মোটামুটি পর্যাপ্ত।
তিনি বলেন, শুধু রমজানের পণ্য না সামগ্রিক অর্থনীতির একটা বিষয় এর সাথে জড়িত। অন্যান্য জায়গায় মূল্যস্ফীতি বাড়বে আর শুধু রমজানের পণ্যের দাম কমবে, সেটা আশা করা যায়। সুতরাং সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রতি রমজানেই দেখা যায় কিছু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার জন্য দাম বাড়াচ্ছে, সেটা রোজায় সরকারকে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে, সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে দাম কমানো যাবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দাম বৃদ্ধির বিষয়টা চাহিদা ও সরবরাহের নিরিখে হয় না। এখানে অনেক বিষয় থাকে। যেমন টাকার মূল্যমান, আমদানি স্তর থেকে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্য পৌঁছানোর জন্য যারা আছে তাদের যে লাভ সংযোজন, সেটার ওপর নির্ভর করে। অতি মুনাফার জন্য মজুদ করে রাখা এবং অনেক সময় ব্যাবসায়ীরা আঁতাত করেও দাম বাড়িয়ে থাকেন। সেখানে আমাদের প্রতিযোগিতা কমিশন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাজার মনিটরিং টিম ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এসব বিষয় দেখতে হবে। অর্থাৎ বাজার ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, পণ্য সরবরাহ ও পরিবহনের ক্ষেত্রে বন্দর থেকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে যাতে সড়কে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সেখানে নজরদারি বাড়াতে হবে। অনেক সময় পণ্যের দামের সাথে পণ্যের চাহিদা ও যোগানের কোনো সম্পর্ক নেই। বাজার স্থিতিশীল করতে সরকার অনেক সময় পণ্য আমদানি ও মজুদ করে থাকে। সেখান থেকে যখন প্রয়োজন হয় পণ্য সরবরাহ করে। সে বিষয়টা নজরে দিতে হবে, যাতে কেউ অহেতুক বা অযৌক্তিকভাবে বাজারে দাম না বাড়াতে পারে।
উল্লেখ্য, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে পণ্য আমদানি হয়েছে ৬ কোটি ৮৫ লাখ টন, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৬ কোটি ৫৮ লাখ টন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫
জিসিজি/এমজেএফ