ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্য ৪০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমান ২৭ বিলিয়ন ডলার রয়েছে, জুন মাসেই তা ৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বুধবার (২১ মে) গুলশানে একটি হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে আর্থিক উন্নয়নের ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক প্রবণতা’ শীর্ষক গবেষণার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব বক্তব্যে পিআরআইর চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার বলেন, এ গবেষণা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নের একটি স্থানিক ও কালানুক্রমিক চিত্র উপস্থাপন করেছে, যা জাতীয় গড়ের আড়ালে থাকা গভীর আর্থিক বৈষম্যকে স্পষ্টভাবে উন্মোচন করেছে। প্রকৃত অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক উন্নয়নের জন্য প্রথমেই চিহ্নিত করতে হবে, দেশের কোন কোন অঞ্চল ও জনগোষ্ঠী মূলধারার ব্যাংকিং সেবা থেকে বাদ পড়ে আছে।
পিআরআইর প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান মূল তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, আমাদের বিশ্লেষণে আর্থিক প্রবেশগম্যতার চরম বৈষম্য ফুটে উঠেছে। জাতীয়ভাবে মাত্র ১ শতাংশ ঋণ হিসাবধারী সব ঋণের ৭৫ শতাংশ পাচ্ছে। ৭৮ শতাংশ ঋণ ঢাকা ও চট্টগ্রামে কেন্দ্রীভূত। দশকব্যাপী ব্যাংক সম্প্রসারণ সত্ত্বেও বেসরকারি ব্যাংকগুলো ধনী পূর্বাঞ্চলে ঘনীভূত রয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে তারা দেশের দরিদ্র অঞ্চলে পৌঁছাচ্ছে না বা সেবা দিচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে পরিস্থিতিগত প্রমাণ থেকে বোঝা যায়, বেসরকারি ব্যাংকগুলো গরিবদের জন্য ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে না।
কোনো জেলা বা সম্প্রদায় যাতে পিছিয়ে না থাকে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার তাগিদ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, এ গবেষণা সেসব অঞ্চল চিহ্নিত করেছে, যেখানে আর্থিক সেবা এখনো অসম।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচকদের মধ্যে ছিলেন আইজিসির বাংলাদেশের সিনিয়র উপদেষ্টা ড. নাসিরুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (পরিসংখ্যান) মো. আনিস উর রহমান। তারা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো পরিমার্জন এবং তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি উন্নত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টারের (আইজিসি) ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম সহযোগী আয়োজন।
জেডএ/এমজে