ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ব্যাংকিং

সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হতে চলছে দৌড়ঝাঁপ

শাহেদ ইরশাদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৬
সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হতে চলছে দৌড়ঝাঁপ

ঢাকা: কে হচ্ছেন সোনালী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান? রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সবচেয়ে বড় ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের পদটি অত্যন্ত সম্মানজনক হওয়ায়, অনেকেই এ পদ পেতে আগ্রহী।

ইতোমধ্যে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেতে অনেকেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে যোগাযোগ করছেন।

কেউ কেউ অর্থ মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও দৌড়ঝাঁপ করছেন। আবার কেউ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখাও করছেন।

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগের ফলে সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান ফজলে কবীর ওই পদে নিয়োগ পান। তিনি ২০ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যোগদানের পর থেকে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য রয়েছে। এরপর থেকে অনেকে ওই পদটি পেতে বিভিন্ন মহলে যোগযোগ করছেন। তবে সোনালী ব্যাংকে একজন দক্ষ ও সৎ ব্যক্তিকেই চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিতে চায় সরকার।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেতে আগ্রহীদের মধ্যে রয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব নিয়াজ উদ্দিন মিয়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন, ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়েকুজ্জাম‍ান। এ তালিকায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮শ কোটি টাকা চুরি করেন হ্যাকাররা। এ ঘটনা বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান কাউকে না জানিয়ে নীরবে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রায় একমাস পর রিজার্ভ চুরির বিষয়টি সংবাদ মাধ্যম থেকে জানতে পারেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন সময় বলেছেন, রিজার্ভ চুরির বিষয়টি তাকে জানায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৭২ অনুযায়ী, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ব্যাংক অব বাহাওয়ালপুরকে অধিগ্রহণ করে সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।
 
২০০৭ সালের ০৩ জুন এটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখাহীন এলাকায় বাংলাদেশের সরকারি কোষাগারের দায়িত্ব পালন করে সোনালী ব্যাংক। স্ট্যাম্প শুল্ক, খাজনা ও নিবন্ধীকরণ ফি আদায়, বিশেষ সঞ্চয়ী হিসাব পরিচালনা, সরকারি কর্মচারীদের পেনশন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করে থাকে ব্যাংকটি।
 
ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ১০ বিলিয়ন টাকা ও পরিশোধিত মূলধন নয় বিলিয়ন টাকা। সারা দেশে সোনালী ব্যাংকের এক হাজার ২০৪টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে অনলাইনের আওতায় রয়েছে এক হাজার ১শ ৮৯টি শাখা। দু’টি শাখা রয়েছে বিদেশে। গ্রামাঞ্চলে ৮শ ৫৭টি শাখা ও শহরে রয়েছে ৩শ ৪২টি। এ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ২১ হাজার ৮শ ৩৯ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৬
এসই/কেআরএম/এসএনএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।