ঢাকা: অদ্ভূত এক আইন পাস করেছে বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। নতুন এ আইনে ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রির বিপরীতে ২ জন নিয়মিত পরিচালকের পদ দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা ও কোম্পানি আইনে উল্লেখ না থাকলেও ব্যাংক পরিচালকদের বোর্ড সভায় সুকৌশেলে এ আইন পাস করিয়ে নেন সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান।
মূলত আজীবন চেয়ারম্যান পদে থাকতে ও নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে ব্যাংক পরিচালনা করতেই এ ধরনের অদ্ভূত আইন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনা জানাজানি হলে উচ্চ আদালতে রিট করেন ব্যাংকের অন্যতম পরিচালক চট্টগ্রামের শিল্পপতি খলিলুর রহমানের মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান ওয়াই স্টিল মিলস।
ইসলামিক কর্পোরেশন ফর দি ডেভেলপমেন্ট অব দি প্রাইভেট সেক্টর (আইসিডি) এবং আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মধ্যে গত ২৯ মার্চ হওয়া শেয়ার সাবস্ক্রিপশন চুক্তির ইনভেস্টমেন্ট টার্ম শিটের ৪.২ অনুচ্ছেদ থেকে জানা যায়, ব্যাংকের ইস্যু করা নতুন শেয়ারে বিনিয়োগকারীর ক্রয়ের প্রস্তাব সহজে অনুমোদনের জন্য ভেটো ক্ষমতা প্রাপ্তরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যাতে বিনিয়োগকারী ইস্যু করা শেয়ারের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সংগ্রহ করতে পারেন। একই সঙ্গে তারা ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরসে বিনিয়োগকারীর ২ জন সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করবেন।
বোর্ড অব ডিরেক্টরস সভা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সংক্রান্ত ৬.৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সভার কোরাম বিদ্যমান বিধি অনুসারে হবে। তবে সংরক্ষিত বিষয়ে সিন্ধান্ত নিতে বিনিয়োগকারী অর্থাৎ নতুন পরিচালকদের মনোনীত একজন পরিচালকের উপস্থিতি দরকার হবে।
যেমন বোর্ড অব ডিরেক্টর’স চেয়ারম্যান নিয়োগ এবং অপসারণ।
ভোটাধিকার প্রসঙ্গে বলা হয়, সভায় বিবেচনার জন্য উপস্থাপিত বিষয়াবলি সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে নিষ্পন্ন করা হবে। তবে নির্ধারিত কিছু ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী অর্থাৎ নতুন পরিচালকদের ন্যুনতম একটি হ্যাঁ বোধক ভোট দরকার হবে।
আল আরাফাহ ব্যাংকের গোপন এ নথি থেকে আরো জানা যায়, পরিশোধিত মূলধন ৯৪৬৯৫৮৫০৩০ যা প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যমানের শেয়ারে বিভক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৬
জেডএম/