ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

হাঁসের বাচ্চার হ্যাচারিতে ভাগ্য ফিরলো হামিদ মোল্লার

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৬ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৬
হাঁসের বাচ্চার হ্যাচারিতে ভাগ্য ফিরলো হামিদ মোল্লার

ঢাকা: হাঁসের বাচ্চার হ্যাচারিতে ভাগ্য ফিরেছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার আব্দুল হামিদ মোল্লার। ‘মোল্লা হ্যাচারি’ তার ও গ্রামবাসী অনেকের কাছেই দারিদ্র্য জয়ের হাতিয়ার ও সম্মানজনক জীবিকা নির্বাহের প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

উল্লাপাড়া থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে পাকা সড়ক ধরে ইসলামপুর বাস স্ট্যান্ড পেরুলেই ভূতগাছা গ্রাম। হামিদ মোল্লার ‘মোল্লা হ্যাচারি’র সুবাদে এ গ্রাম এখন অনেকের কাছেই পরিচিত।

সুসজ্জিত এ হ্যাচারিতে ডিম থেকে ২৫-২৮ দিনে বিভিন্ন জাতের হাঁসের বাচ্চা ফোটান হামিদ মিয়া। এরপর সেগুলো বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ করেন নিজের জেলাসহ পাশ্ববর্তী জেলাগুলোতে। তিনি এখন সফল উদ্যোক্তা। আর হামিদ মোল্লার এ সফলতার নেপথ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক।

ভূতগাছা গ্রামের বাসিন্দা ও হামিদ মোল্লার শুভাকাঙ্ক্ষী মনসুর আলী এ প্রসঙ্গে বলেন, ইসলামী ব্যাংক হামিদ মোল্লার জীবন সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছে।

২০১১ সালে হামিদ মোল্লা ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের (আরডিএস) আওতায় মাত্র ২০ হাজার টাকার বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে শুরু করেন হ্যাচারি ব্যবসা। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তার হ্যাচারির হাঁসের বাচ্চার চাহিদা। ফলে দ্রুত প্রসার লাভ করে তার ব্যবসা।

উদ্যমী হামিদ মোল্লা পর্যায়ত্রমে ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার, ৭০ হাজার এবং ১ লাখ দশ হাজার টাকার বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি বাইমুয়াজ্জাল পদ্ধতিতে ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকার বিনিয়োগ গ্রহণ করেন। বর্তমানে ৫ লাখ টাকার বিনিয়োগ গ্রহণ করে সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তিনি।

তার খামারে একসঙ্গে ১০ হাজার হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো যায়। বাচ্চাগুলো ৪ সপ্তাহের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়। উৎপাদন খরচ, শ্রমিকের বেতন, বিদ্যুৎ বিল ও পরিবহন খরচ বাদ দিয়ে মাসে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা মুনাফা করছেন তিনি। বর্তমানে তার হ্যাচারিতে ১৪ জন বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে।

হামিদ মোল্লার স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বলেন, পাঁচ মেয়ে সন্তান নিয়ে এক সময় খুব কষ্টে দিন কাটছিল। অভাবের সংসারে উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনোর আগেই বিয়ে দিতে হয়েছিল তিন মেয়েকে।

তিনি জানান, হ্যাচারির ব্যবসায় তাদের দিন ফিরেছে। বাড়িতে পাকা ঘর উঠেছে। সন্তান-স্বজন নিয়ে ভালোই চলছে তাদের সংসার। এখন সুখেই কাটছে তাদের দিন। এ সফলতার জন্য ইসলামী ব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞ হামিদ মোল্লার পরিবার।

হামিদ মোল্লার মতো দেশের ২০ হাজার গ্রামের ১০ লাখ পরিবারে স্বনির্ভরতা ও স্বচ্ছলতা এনেছে ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান ও আর্থিক অন্তুর্ভূক্তিতে ভূমিকা রাখছে ইসলামী ব্যাংক।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৬
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।