ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ব্যাংকিং

জালিয়াতি রোধে প্রয়োজন নিরাপদ প্রযুক্তি ও দক্ষ জনবল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৬
জালিয়াতি রোধে প্রয়োজন নিরাপদ প্রযুক্তি ও দক্ষ জনবল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অটোমোটেড টেলার মেশিন (এটিএম) লেনদেনে মানসম্পন্ন ও নিরাপদ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে আবহাওয়ার সাথে মানানসই কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, ভালো কর্মকর্তাদের মূল্যায়ন ও জালিয়াতির ঘটনা ঘটলে আন্তঃব্যাংক জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

 

মঙ্গলবার (১০ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অডিটোরিয়ামে মিডিয়া ইনস্টিটিউট ফর স্কিল ডেভেলপমেন্ট (এমআইএসডি) আয়োজিত ‘এটিএম ব্যাংকিং তথ্যপ্রযুক্তি ও গ্রাহকদের নিরাপত্তা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।  

অনুষ্ঠানে এটিএম লেনদেন ও কার্ড সেবায় প্রতারণা: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী।  

এতে বলা হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এটিএম ব্যাংকিংয়ের জালিয়াতির ঘটনা কম হলেও এ খাতের মানবসম্পদ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।  

এতে বলা হয়, মোট ব্যয়ের শতকরা ১০ শতাংশ এটিএম খাতে ব্যয় করা উচিত ব্যাংকগুলোকে। আর এটিএম খাতটি সরাসরি আইসিটি নির্ভর হওয়ার কারণে আইসিটি ক্ষেত্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে হবে।  

এছাড়া এটিএম মেশিন বিদেশ থেকে আনছে তা বৈধভাবে আসছে কি না তাও পরীক্ষা করে দেখা উচিত।  

প্রবন্ধে বলা হয়, সম্প্রতি এটিএম কার্ড জালিয়াতির যে ঘটনা ঘটেছে তাতে দেখা যাচ্ছে এটিএম পজ মেশিনের মাধ্যমে হয়েছে। এসব পস মেশিন সাধারণত বিভিন্ন খুচরা দোকান, শপিং মল বা দোকানগুলোতে থাকে। এসব পজ মেশিনের উপর কোনো ধরনের নজরদারি নেই। এতে নজরদারি বাড়াতে হবে। আর তা নাহলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে।  

সিটিও ফোরামের প্রেসিডেন্ট তপন কান্তি সরকার বলেন, দেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু হয়েছে ২০০০ সালে, মোবাইল ব্যাংকিং ২০১০ সালে। পয়েন্ট অব সেল এটিএম লেনদেন তারও অনেক আগে। এখনও দু-একটি ব্যাংক ছাড়া সবারই ম্যাগনেটস্টিভ কার্ড রয়েছে। ইএমভি মাইক্রোচিপযুক্ত কার্ড চালু করেনি। ভেতরের তুলনায় বাইরের আক্রমন বেশি হওয়ায় ইএমভি কার্ড করা জরুরি। না করলে জালিয়াতি বন্ধ হবে না।

সিটিও অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ মাইনুল ইসলাম বলেন, জালিয়াতির খোঁজ রাখতে হবে। কোনো ব্যাংকে জালিয়াতি হলে অন্য ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দিতে হবে। ইএমভি চিপযুক্ত কার্ড চালু, স্কিমিং ডিভাইস স্থাপন না করলে জালিয়াতি ভবিষ্যতে বাড়বে।  

এমআইএসডির প্রেসিডেন্ট গোলাম শাহানির সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক শাহ জিয়াউল হক, ডিবিএল গ্রুপ সিটিও সেহরুল হক জোয়ারদার, ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারের পরিচালক তারেক বরকত উল্লাহ, আইসিটি বিভাগের কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট অজিত কুমার সরকার ও  দৈনিক ইত্তেফাকের বিজনেস এডিটর জামাল উদ্দিন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৬
এসই/আরবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।