ঢাকা: বেসরকারিখাতের ন্যাশনাল ব্যাংক দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষকে কাঠামোগত প্রক্রিয়ায় স্বাবলম্বী করার সুযোগ তৈরি করতে বলে জানালেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জয়নুল হক শিকদার।
মঙ্গা ও অন্যান্য দুর্যেগ কবলিত এলাকাসহ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সহায়তায় ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন ঋণপণ্য ‘দারিদ্র্য মুক্তি’র উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) রাজধানীর সীমান্ত স্কয়ারে ব্যাংকের বোর্ডরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জয়নুল হক শিকদার বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ন্যাশনাল ব্যাংক সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে আসছে। আমরা দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষকে কাঠামোগত প্রক্রিয়ায় স্বাবলম্বী করার সুযাগ তৈরি করতে চাই। এজন্য বড় বড় ঋণের দিকে না তাকিয়ে তৃণমূল মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবছি। ‘দারিদ্র্য মুক্তি’ তারই একটি প্রয়াস।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, এ প্রকল্পের ঋণ নিয়ে ভাড়াচালিত রিকশা চালক আর্থিক ক্ষমতা বাড়িয়ে রিকশার মালিক হতে পারবেন।
কর্মক্ষম ও আয় উৎসাহী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে দারিদ্র্য ও অস্বচ্ছলতা থেকে মুক্তির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে এ ঋণ প্রকল্প থেকে তৃণমূল পর্যায়ের অবহেলিত, দুর্যোগগ্রস্ত ও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনসাধারণকে ঋণ নেওয়ার আহবান জানান শিকদার।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএফএম শরিফুল ইসলা।
এ সময় ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক পারভীন হক শিকদার, পরিচালক রন হক শিকদার, মেয়াজ্জেম হোসেন, স্বতন্ত্র পরিচালক আনোয়ার হোসেন, মাহাবুবুর রহমান খান, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, বদিউল আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম বুলবুল, এমএ ওয়াদুদ, আব্দুস সোবহান খান, শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী, ফরিদ উদ্দিন আহাম্মদ প্রমুখ।
পাড়া, মহল্লা, গ্রামভিত্তিক ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, পেশাজীবী ও যেকোনো ধরনের আয় উৎসাহী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিতরা এ ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন।
জামানতবিহীন দেড়বছর মেয়াদী এ ঋণ একজন গ্রহিতা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবেন। সরল সুদ দিতে হবে ৫ শতাংশ। পরিশোধ করা যাবে এককালীন, কিস্তি ও আবর্তনশীল পদ্ধতিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুন: ১৪, ২০১৬
এসই/এএ