ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ব্যাংকিং

সাদা মানুষ মনজুর হোসেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৬
সাদা মানুষ মনজুর হোসেন

ঢাকা: সাদা মনের মানুষ মনজুর হোসেন। তিনি রূপালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান।

রূপালী ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি সিনিয়র সচিব হিসেবে সততা, সক্ষমতা এবং সফলতার সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন। চাকরি জীবনে কোনো ধরনের অনিয়মের সঙ্গে আপোস করেননি। ব্যাংকে এসেও তার সততার নজির অব্যাহত।

ঋণ বিতরণ, আদায়, রেমিট্যান্স সংগ্রহ, আমদানি-রফতানি বৃদ্ধিসহ সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে অগ্রগতি এনেছেন। পাশাপাশি অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তার এ কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আতাউর রহমান প্রধান। তিনি ব্যাংকে যোগদানের পর কীভাবে ব্যাংকটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে জোরেসোরে কাজ শুরু করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি এ দু’নেতার নেতৃত্বেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বলেও সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন।

রূপালী ব্যাংকের একাধিক গ্রাহক বলছেন, ব্যাংকের পর্ষদ ঋণ বিতরণ ও আদায়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ বিতরণ করা হলে তা শাখা থেকে শুরু করে জোনাল অফিস, বিভাগীয় কার্যালয়, ম্যানেজমেন্ট কমিটি হয়ে পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ঋণ প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই করে পাস করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত কাগজপত্র বা মর্টগেজ এবং গ্যারান্টি নেওয়া হয়। ঋণ প্রস্তাবের বিপরীতে যদি পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট না থাকে তাহলে পর্ষদ ঋণ প্রস্তাবটি নাকোচ করে দেয়। এতে রূপালী ব্যাংক থেকে কোনোভাবেই ভুয়া ঋণ বা অনৈতিক ঋণ অথবা যে ঋণের বিপরীতে তেমন কোনো ডকুমেন্ট নেই সেগুলো কোনোভাবেই পাস করা হয় না। এক্ষেত্রে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।

সম্প্রতি মের্সাস রাকিব এন্টারপ্রাইজ নামে চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার জন্য রূপালী ব্যাংকের পর্ষদে উত্থাপন করা হয়। কিন্তু ঋণ গ্রহণের বিপরীতে ওই প্রতিষ্ঠানের তেমন কোনো কাগজ-পত্র না থাকায় প্রস্তাবটি পাস না করে চট্টগ্রাম থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার সিদ্ধান্ত দেয় পর্ষদ। এই কোম্পানির দুর্বল ডকুমেন্ট থাকার কারণে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন ব্যাংকের ঋণ বিতরণের বিপক্ষে অবস্থান নেন। যাতে কোনোভাবেই ঋণ বিতরণে অনিয়ম না হয়। অথচ একটি কুচক্রী মহল রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা চক্রান্ত করে একটি পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ করে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন একজন সাদা মনের মানুষ। পর্ষদ মিটিং ছাড়া তিনি ব্যাংকে আসেন না। ব্যাংকের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ তার দ্বারা হয় না। ব্যাংকের উন্নয়নের জন্য তিনি নিবেদিত। ঋণ বিতরণ, আদায়সহ সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে তিনি স্বচ্ছতা ফিরিয়ে এনেছেন। বিষয়টি ব্যাংকের ভেতরে ও বাইরে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ঋণ বিতরণ, কোনো পার্টিকে কাজ দেওয়া, বিজ্ঞাপন দেওয়াসহ কোনো বিষয়ে চেয়ারম্যানের কোন তদবির নেই। নেই উচ্চ বিলাসিতাও।

এ ব্যাপারে রূপালী ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক খায়রুল হোসেন রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মনজুর হোসেন স্যার একজন সৎ মানুষ। আমার জানা মতে, তিনি রূপালী ব্যাংকে এসে কোনোভাবেই অনিয়মের সঙ্গে আপোস করেননি। কোনো বিষয়ে তদবির এবং কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তার ব্যক্তিগত কাজ বা অনৈতিক কাজের জন্য চাপ প্রয়োগ করেননি। তিনি ব্যাংকে যোগদানের পর থেকেই ব্যাংকের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। ব্যাংকিং ইতিহাসে তিনি একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৬/আপডেট ১৯২৬
এসই/এসএনএস/আইএ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।