ঢাকা: রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান বলেছেন, ২০১৭ সালে মোট ঋণের ৮০ শতাংশই গ্রামে বিতরণ করা হবে। শহরে বড় বড় ঋণ না দিয়ে গ্রামের ছোট ছোট ঝুড়িতে (শিল্প) ঋণ দিতে চাই।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা বলেন তিনি।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রূপালী ব্যাংকে যোগদানের একশ দিন উপলক্ষে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়।
আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ব্যাংকের বড় ঋণ খেলাপিদের সঙ্গে কথা বলেছি। কীভাবে তাদের ঋণ নিয়মিত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা যাবে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নভেম্বর মাসে এ ধরনের ৩৭ জন গ্রাহককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আতাউর রহমান বলেন, রূপালী ব্যাংকের নন পারফর্মিং লোন অনেক বেশি। আমার যোগদানের পর এ পর্যন্ত ৪শ’ ৪০ জন শাখা ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলে ঋণের সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। জুনের চেয়ে সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। বিগত সময়ে সঠিকভাবে প্রভিশন ঘাটতি ও ক্লাসিফিকেশন না করে লাভ দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, অনিয়ম রোধে অটোমেশনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১শ’ ৩১টি শাখা অটোমেশন করা হয়েছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে শতভাগ অটোমেশন করা হবে। সাইবার সিকিউরিটি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য আমাদের একটি টিম কাজ করছে।
রূপালী ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতা গোল্ড আনোয়ার সর্ম্পকে তিনি বলেন, তিনি হিসাবে জমার অতিরিক্ত ৬৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন। এরমধ্যে ৫১ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছেন, বাকি টাকাও দেবেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় সংশ্লিষ্ট শাখার ম্যানেজারসহ কয়েকজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় অডিটে যাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মতবিনিময়ে রূপালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৬
এসই/এমজেএফ