তিনি বলেছেন, ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রমে বাংলা ব্যবহার হচ্ছে না। সঞ্চয়ী হিসাব, প্রাথমিক হিসাব, সুদ ইত্যাদি বোঝাতে আরবি শব্দ ব্যবহার করা হয়।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের লেক শোর হোটেলে আয়োজিত ‘জঙ্গিবাদ ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে মীজানুর রহমান এ কথা বলেন। বৈঠকটির আয়োজন করে রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (রাত্রি)।
ড. মীজানুর রহমান বলেন, ইসলামী ব্যংক মানুষকে সুদের বদলে মুনাফা শব্দের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছে। আরবি শব্দের ব্যবহার করে দেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে ব্যবসা চালাচ্ছে।
ইসলামী ব্যংকের মুনাফা বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে কস্ট অব ক্যাপিটাল কমকে চিহ্নিত করেন জবি উপাচার্য। তিনি বলেন, অনেকেই সুদ নেবেন না বলে সেখানে অর্থ রাখছেন। সেখান থেকে ক্যাপিটাল বাড়ে।
ড. মীজানুর রহমান মনে করেন, শুধু ব্যাংকিং খাতের সংস্কার করেই জঙ্গিবাদের সংস্কার হবে না। তবে জামায়াতকে হয়তো চাপে ফেলা যাবে। সবদিকে কাজ করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইমেরিটাস অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ঢাবি’র সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান কার্জন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহারিয়ার কবির, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সাংবাদিক প্রণব সাহা প্রমুখ অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
এমএন/এইচএ/
আরও পড়ুন
**‘ইসলামী ব্যাংকে সংস্কার সময়োপযোগী পদক্ষেপ’
** ইসলামী ব্যাংকে পরিবর্তনে জামায়াতের অর্থ যোগান কমবে
** ব্যাংকিং খাতে অর্থবহ সংস্কার প্রয়োজন
** ইসলামী ব্যাংকে সব ধর্মের লোক নিয়োগের পরামর্শ
** ‘হুন্ডির মাধ্যমে জামায়াতের টাকা আসছে’
** জামায়াতকে নিষিদ্ধ না করলে ইসলামী ব্যাংকের সংস্কার হবে না
** বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের গাঁটছাড়া প্রমাণিত
** ‘আর একটি টাকাও জামায়াতের হাতে যাবে না’
** ইসলামী ব্যাংকে শিবির কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো
** ‘জঙ্গিবাদ ও ব্যাংকিং খাতের সংস্কার’ শীর্ষক গোলটেবিল শুরু