ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে তামাশা হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৭
মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে তামাশা হচ্ছে উপ-কর কমিশনার সম্মেলন-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন- ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

ঢাকা: মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে তামাশা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে প্রথমবারের মতো উপ-কর কমিশনার সম্মেলন-২০১৭ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফরাসউদ্দিন বলেন, বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং নিয়ে কোম্পানিগুলো তামাশা করছে।

কেননা ১শ’ টাকা লেনদেন করলে ১ টাকা ৮৬ পয়সা কেটে নিচ্ছে কোম্পানিগুলো, যা এক ধরনের প্রতারণা। যেখানে ব্যাংকিং সিস্টেমে লাগছে মাত্র ৪০ পয়সা। ফলে এখনই বিষয়টি এনবিআরের বিবেচনায় আসা উচিত। কেননা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, এই মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমের ফলে বিদেশি কোম্পানিগুলো লাভবান হচ্ছে। আমাদের সম্পদ বিদেশে চলে যাচ্ছে। ভেবে দেখতে হবে, এটাকে ব্যাংকিং সিস্টেমের আওতায় আনা যায় কিনা। অন্যথায় এ কারণে প্রতিনিয়ত জনগণ ধোঁকায় পড়ছে।

কৃষিতে করারোপ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা কৃষিতে ভালো করছে। ফলে সেসব প্রতিষ্ঠানের উপর এখন করারোপ করার সময় এসেছে। শুধু তাই নয়, এখন এডিআর নিয়েও এনবিআরকে ভাবতে হবে। কেননা এজন্য সরকারের ৩২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পড়ে আছে। ফলে বিষয়টি যদি এনবিআরের কর্মকর্তারা আরও ভালো বোঝেন, তাহলে অন্তত অর্ধেক রাজস্ব উঠে আসবে। ফলে ভবিষ্যতের বাজেট আরও বাড়বে। এতে দেশের যেমন উন্নয়ন হবে তেমনিভাবে রাজস্বের মাত্রাও বাড়বে।

এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমদ বলেন, এনবিআরের অধিকাংশ কর্মকর্তা এখনও এডিআর (বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি) সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাননি। আর এডিআর তথা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় ৩২ হাজার কোটি টাকার বকেয়া রাজস্ব টানতে হচ্ছে। এর কারণ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলেন, আমরা এডিআরে যেতে পারবো না। কেননা মামলায় হেরে গেলে উপর মহল থেকে চাপ আসবে। তাই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করতে হবে আইনি প্রক্রিয়ায়। এনবিআর হেরে গেলেও কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এডিআর থেকে পেছনে আসা যাবে না। শুধু এই একটা বিষয় নয়, আরও অনেক বিষয় রয়েছে যেটা সম্পর্কে ভালো জানেন না এনবিআরের অধিকাংশ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, এমন একটা সময় ছিলো যখন এনবিআরের লোকদের দেখলে মানুষ ভয় পেতো, সেখানে আজ মানুষ তাদের ভালোবাসে। মানুষ এখন ট্যাক্স দিতে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই এনবিআর করে দেখিয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. নজিবুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৭
এসজে/জিপি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।