রোববার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং দু’টি বিশেষায়িত ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণে ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান-ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মুহিত।
তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আবিষ্কার করেছেন, কারা তাদের টাকা নিয়েছেন।
মুহিত বলেন, বেসিক ব্যাংকের সমস্যা অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে সমমানে বিচার করা যাবে না। এটাকে নার্সিং করতে হবে। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ভবিষ্যতে যখন ব্যাংক নিয়ে আলোচনা করবো, বেসিক ব্যাংক তার বাইরে থাকবে। বেসিক ব্যাংককে কতোদিনের মধ্যে ভালো অবস্থায় আনা যায়, টাইম নির্ধারণ করতে হবে। কারণ বেসিক থাকতে অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করা যায় না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রত্যেক ব্যাংকই দুর্বল, কিছু না কিছু ঘাটতি আছে। হয় মূলধন না হয় প্রভিশন। তাই অন্য ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
এর মধ্যে মূলধন ঘাটতি একটি। বন্ড ইস্যুর ক্ষমতা আছে কি-না অথবা তারা ক্ষমতার চর্চা করতে পারবে কিনা। মূলধন কিছুটা দেবো। তখন কে কি পাচ্ছেন বা কে কতো পেয়েছেন জানানো হবে।
মুহিত বলেন, বাজেটে কি ক্যাপাসিটি আছে সেটা আগামী মাসের মধ্যে সম্পন্ন করবো। চলতি অর্থবছরের বাজেটের ব্যাংকগুলোর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আগামী মাসে ছাড় করা হবে।
বেসিক লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মুহিত বলেন, বেসিকের বিষয়ে দুদককে কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে। তারা যেভাবে চাইবে সেভাবে ব্যবস্থা নেবে।
বর্তমানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং দু’টি বিশেষায়িত ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি রয়েছে ১৪ হাজার ৯শ’ ৯৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সোনালী ২৬০৬ কোটি, জনতা ৬৬৪ কোটি, অগ্রণী ২০০ কোটি, রূপালীর ১০৫৩ কোটি, বেসিক ২২৮৬ কোটি, বিডিবিএল ৭৩৭ কোটি ও বিকেবি ৭৪৮৫ কোটি ও রাকাব ৭০৫ কোটি টাকা।
এর মধ্যে বেসিক ২০ বছর মেয়াদে ২৬০০ কোটি টাকা, রূপালী ৭ বছর মেয়াদে ৫০০ কোটি টাকা ও জনতা ১০ বছর মেয়াদে ১০০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়তে সরকারের কাছে আবেদন করেছে। এসব বিষয় নিয়েই বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. ইউনুসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭
এসই/জেডএস