ঢাকা, রবিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

ব্যাংকিং

মুনাফা নয়, প্রাইম ব্যাংকের লক্ষ্য কোয়ালিটি ব্যাংকিং

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
মুনাফা নয়, প্রাইম ব্যাংকের লক্ষ্য কোয়ালিটি ব্যাংকিং প্রাইম ব্যাংকের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন/ছবি: বাদল

ঢাকা: প্রাইম ব্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ কামাল খান চৌধুরী বলেছেন, মুনাফার পেছনে না ছুটে কোয়ালিটি ব্যাংকিংয়ে প্রাধান্য দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড।

রোববার (১৬ এ‌প্রিল) রাজধানীর দিলকুশায় পূর্বানী হোটেলে প্রাইম ব্যাংকের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

আহমেদ কামাল খান চৌধুরী বলেন, আগামীতে এসএমই, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও কৃষির মতো বিকাশমান খাতগুলোতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

প্রাইম ব্যাংক কখনো মুনাফার পেছনে ছোটেনি। বরং কোয়ালিটি ব্যাংকিংয়ে প্রাধান্য দিয়েছে যা আমাদেও বিগত বছরগুলোর ক্রেডিট রেটিং রিপোর্ট থেকে বোঝা যায়। আমরা স্বচ্ছ ব্যালেন্সশিট তৈরির জন্য গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছি।

তিনি বলেন, কৃষিতে ব্যাংকটি বরাবরই বেশি ঋণ দিয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে। গ্রামে আমরা কৃষিতে যেসব ঋণ বিতরণ করেছি সেগুলোতে খেলাপির হার ১ শতাংশেরও কম। তাই এখানে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষি খাতে ২৫০ কোটি টাকা টার্গেটের বিপরীতে আমরা ৩৬৭ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছি। চলতি অর্থবছরে ২৪০ কোটি টাকার বিপরীতে ৯ মাসে আমরা ১৮১ কোটি টাকার বেশি বিতরণ করেছি। আমরা আবাদ, খামার ও নবান্ন নামে তিনটি কৃষি ঋণ প্রোডাক্টের মাধ্যমে ঋণ দিচ্ছি।

বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির কোনো টাকা ব্যাংক ফেরত আনতে পেরেছে কিনা জানতে চাইলে ব্যাংকটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রব্বানী বলেন, বিসমিল্লাহ গ্রুপের যে সব ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন ছিল সেগুলোর মধ্যে তাদের সম্পত্তির পুরোটাই জামানত হিসেবে ছিল শুধু প্রাইম ব্যাংকের কাছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে, তবে আমরা ডিক্রি পেয়ে গেছি। প্রক্রিয়া শেষে জামানত বিক্রি করে আমরা ভালো একটি অ্যামাউন্ট এ বছরের শেষ নাগাদ পেয়ে যাবো আশা করছি। তাই আমরা বিসমিল্লাহ নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নই।

২২ বছরে ব্যাংকটির সবচেয়ে বড় অর্জন কী জানতে চাইলে আহমেদ কামাল খান বলেন, ১০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ব্যাংকটি যাত্রা শুরু করেছিল। আজ এর পরিমাণ ১০২৯ কোটি টাকায়। এটাই তো আমাদের বড় সাফল্য।

এছাড়া ব্যাংকটি আইটি সেক্টরের উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিকমানের দেশি বিদেশি সফটওয়ার ব্যাবহার করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেশের সবচেয়ে বড় সাইবার অ্যাটাকের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালন করার জন্য কাজ করছি। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যেটা তৈরি হয়েছে সেটা হলো মোবাইলের মাধ্যমে পুরো ব্যাংকিং কার্যকম পরিচালনা।

আহমেদ কামাল খান বলেন আরও বলেন, একজন গ্রাহক যখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তার ব্যাংকিং করতে থাকবে তখন নানা ধরনের জালিয়াতি শুরু হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এজন্য গ্রাহকদের সচেতনতামূলক শিক্ষা এবং ফ্রড ঠেকানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা তৈরি করাটাই এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমেও গতি কম।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সিইও মো. তাবারক হোসেন ভূঁইয়া, ব্যাংকটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহেল আহমেদ, মো. তৌহিদুল আলম খান, সৈয়দ ফরিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতনরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, এ‌প্রিল ১৬, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।