বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহীর তানোর থানায় মালাটি দায়ের করা হয়।
পরে হাসান মোহাম্মদ খালিদুল হক ওরফে খালেদ (৪৫) নামের এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে দুদক।
এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার খালিদুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজশাহী তানোর উপজেলা শাখা কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় তিনি ব্যাংকের ওই শাখার আইটি কর্মকর্তা নাজির হোসেনের সঙ্গে যোগসাজশ করে মোট ১৮ লাখ ৯০ হাজার সরকারি টাকা লোপাট করেছেন।
গ্রেফতার ব্যাংক কর্মকর্তা খালিদুল রাজশাহীর পবা উপজেলার ললিতাহার গ্রামের একরামুল হকের ছেলে। আর পলাতক নাজির হোসেন রাজশাহী মহানগরীর বহরমপুর ব্যাংক কলোনি এলাকার নাম মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ছেলে।
রাজশাহীর তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মককর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বাংলানিউজকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আরিফ হোসেন বাদী হয়ে মামলা দু’টি দায়ের করেন। এতে খালিদুল হক ও নাজির হোসেনকে আলাদাভাবে আসামি করা হয়েছে। তবে তার এ থানায় কেউ আটক নেই বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহীর রাজপাড়া থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমেনা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে খালিদুল হককে দুদক গ্রেফতার করে এ থানায় সোপর্দ করেছেন।
বর্তমানে তাকে থানায় রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অন্য থানায় মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
দুদক কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল থেকে ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত খালিদুল হক ও নাজির হোসেন সরকারি একটি ব্যাংক হিসাব থেকে অন্য একটি ব্যাংকের হিসাবে ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা স্থানান্তর করেন। এরপর সে টাকা তারা তুলে নিয়ে আত্মসাত করেন।
এ অভিযোগে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ খালিদুল হককে শাস্তিমূলক বদলি হিসেবে রাজশাহী প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করে। এছাড়া শুধু নাজির হোসেনের বিরুদ্ধে এক কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের আরও একটি অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায়ও দুদকের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত শেষে দুদক কর্মকর্তা আরিফ হোসেন তার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। এরপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করেছে। ২০১৫ সাল থেকেই নাজির হোসেন লাপাত্তা। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা আরিফ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
এসএস/জিপি