ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ব্যাংকিং

অ্যাটর্নি জেনারেলকে গ্রামীণ ব্যাংকের চিঠি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
অ্যাটর্নি জেনারেলকে গ্রামীণ ব্যাংকের চিঠি

ঢাকা: গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচন নিয়ে উচ্চ আদালতে মামল‍া চলমান থাকায় পরিচালন‍া পর্ষদের সভা করা যাবে কি-না- সে বিষয়ে মতামত চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে চিঠি পাঠিয়েছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা আহবান বা অনুষ্ঠানে  ‘গ্রামীণ ব্যাংক আইন ২০১৩’ যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশনা দেওয়ার পর ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার মোজাম্মেল হক এ চিঠি পাঠিয়েছেন।

এর আগে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সরকারি বাসভবনে চেয়ারম্যানসহ সরকার নিযুক্ত তিনজন পরিচালকের সমন্বয়ে পর্ষদ সভা আহবানের বিষয়ে অ্যার্টনি জেনারেলের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গ্রামীণ ব্যাংক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের  ‘গ্রামের দরিদ্র মানুষকে ব্যাংকিং সেবা প্রদান’ প্রকল্পের ফল। ১৯৭৬ সালে তিনি এ বিষয়ে গবেষণা প্রকল্প চালু করেন। তার আলোকে ১৯৮৩ সালে আইনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণ ব্যাংক।

গ্রামীণ ব্যাংক আইন ২০১৩ এর ১১ (১) উপ-ধারা অনুসারে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৩ বছর। ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারহোল্ডারদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ৯ জন পরিচালক দায়িত্ব নেন ০৮ ফেব্রুয়ারি। ওই পরিচালকদের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৫ সালের ০৭ ফেব্রুয়ারি।

নয়জন পরিচালক হলেন- ঋণগ্রহীতাদের পক্ষে সিলেট অঞ্চলের মোছাম্মাৎ সুলতানা, চট্টগ্রামের মোছাম্মাৎ সাজেদা, কুমিল্লার রেহেনা আক্তার ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের তাহসীনা খাতুন এবং শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষে গাজীপুর অঞ্চলের সালেহা খাতুন, দিনাজপুরের পারুল বেগম, বগুড়ার মোছাম্মাৎ মেরিনা, যশোরের শাহিদা বেগম ও পটুয়াখালীর মোমেলা বেগম।  

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না হওয়ায় পরিচালক নির্বাচন বিধিমালা-২০১৪ এর ৫ (১)  উপ-বিধি অনুসারে বিদ্যমান পরিচালকরা পরিচালনা পর্ষদে তাদের সদস্যপদ বহাল আছে- দাবি করে ২০১৫ সালে নয়জন পরিচালকের পক্ষে হাইকোর্টে রিট (৩২৪৫-২০১৫) করেন ময়মনসিংহের দাপুনিয়ার তাহসিনা খাতুন।

মামলাটি এখনো বিচারাধীন।

গ্রামীণ ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়াও বতর্মানে সরকার নিযুক্ত দু’জন পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার মোজাম্মেল হক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব সুরাইয়া বেগম।

গ্রামীণ ব্যাংক আইনের ১৭ (৩) ধারা অনুসারে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ শেষ হলে বিধি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নতুনভাবে পরিচালক নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সরকার নিযুক্ত চেয়ারম্যান ও অন্য দু’জন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম পূরণসহ সভা অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে।

রিট আবেদনের রুল অনিষ্পত্তি (বিচারাধীন) অবস্থায় সরকার নিযুক্ত পরিচালকরা ওই আইনের ১৭ (৩) ধারা অনুসারে পর্ষদ সভা করতে পারবেন কি-না, কিংবা পর্ষদ সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে বাদীপক্ষ আদালত কোনো প্রতিকার চাইলে সেক্ষেত্রে আদালত অবমাননা বা কোনো জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে কি-না- সেসব বিষয়ে মতামত চেয়ে চিঠিটি দিয়েছেন মোজাম্মেল হক।

গ্রামীণ ব্যাংক বিধিমালার ৫ (১) উপ-বিধি অনুসারে ছয়মাসের মধ্যে পরিচালক নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হয়নি। পরবর্তীতে পরিচালক নির্বাচনে কমিশন গঠনের জন্য বিধিমালার ৫ (১) এবং ৬ (১) উপ-বিধি সংশোধন করে ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
এসই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।